অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিনে আজ বই এসেছে ৯৮ টি। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক নার্গিস সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিলনকান্তি দে’র সভাপতিত্বে আজ মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জন-আকাঙ্ক্ষার নাট্যকলা-যাত্রা: ঐতিহ্যের পরম্পরায় জাতীয়তাবাদী শিল্পরীতি এবং অমেলেন্দু বিশ্বাস’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইদুর রহমান লিপন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহমান মৈশান। প্রাবন্ধিক সাইদুর রহমান লিপন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত রীতি-পদ্ধতির সর্বাধিক জনসম্পৃক্ত একটি নাট্যধারা-যাত্রা। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যাত্রা শিল্পের জগতে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন অমলেন্দু বিশ্বাস।’
শাহমান মৈশান বলেন, অমলেন্দু বিশ্বাস যাত্রাশিল্পের একজন কিংবদন্তি। তার অভিনয় হাজার হাজার দর্শককে সম্মোহিত করেছে। তবে তিনি নিছক একজন যাত্রাশিল্পীই ছিলেন না, তিনি হয়ে উঠেছিলেন আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিশেষ এক ব্যক্তি। এই সমাজের মধ্যে সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের যে দ্বন্দ্ব আছে তার নিরিখেই অমলেন্দু বিশ্বাসকে বিচার করতে হবে। তিনি যাত্রায় অভিনয় করেছেন, যাত্রার ইতিহাস রচনা করেছেন এবং যাত্রাকে তত্ত্বায়িত করেছেন। সর্বোপরি যাত্রাকে তিনি জনগণের শিল্পভাষা হিসেবে গণ্য করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে মিলনকান্তি দে বলেন, যাত্রাশিল্পের মানসপুত্র হিসেবে অভিহিত করা যায় অমলেন্দু বিশ্বাসকে। তার শিল্প চেতনায় ছিল লোকজ আঙ্গিকের সঙ্গে আধুনিক নাট্যরীতির সমন্বয় ঘটানোর প্রয়াস। তার অভিনয়, যাত্রা দর্শন ও চিন্তাচেতনা গভীরতর গবেষণার দাবি রাখে।