সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী সেনানিবাসে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে (বিআইআরসি), যা ‘রেজিমেন্ট অব দ্য মিলেনিয়াম’ নামে পরিচিত, যথাযোগ্য সামরিক মর্যাদায় তাকে অভিষিক্ত করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৭ম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে সেনাপ্রধান সামরিক রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানো হয় এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এরপর বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং জ্যেষ্ঠতম মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাপ্রধানকে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং এ রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
একই সঙ্গে তিনি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বীর সেনানীসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন। সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এই রেজিমেন্টের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যকে অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও সেনাপ্রধান আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে এই রেজিমেন্টের সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন উপলক্ষ্যে সেনাপ্রধানের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এই রেজিমেন্টের সদস্যদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি ও রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে আগামীদিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।