আ.লীগ নেতা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিস্ফোরক মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নাজিরপুর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই)
মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মো. রুহুল আমিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আল মামুন ও মো. রেজাউল করিম।

পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, গত সোমবার বিকেলে বিস্ফোরক মামলার আসামি স্থানীয় বালিপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খানকে আটকের সময় ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের সাঈদখালী গ্রামের সত্তার নায়েবের কুলখানি অনুষ্ঠানে স্থানীয় বালিপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খান যোগদান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অনুষ্ঠান থেকে বিস্ফোরক মামলার আসামি হেলাল খানকে আটক করে নিয়ে আসতে চাইলে তার সহযোগীরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়। তবে স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে তারা আসামি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা অনুষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

Share this news on: