বরিশাল বিভাগের নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। অন্যদিকে সবচেয়ে কম নির্যাতনের শিকার হয় সিলেটের নারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশের সমন্বয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪-এর মূল তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়। ২০১১ এবং ২০১৫ সালের জরিপের পরে তৃতীয়বারের মতো ২০২৪ সালে জরিপটি করা হয়।
বিবিএস জানায়, দেশে জীবনে একবার হলেও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭৫.৯ শতাংশ নারী। গ্রামে এর হার ৭৬ শতাংশ এবং শহরে ৭৫.৬ শতাংশ। তবে বিভাগওয়ারী বরিশালে নারী নির্যাতনের হার বেশি ৮১.৫ শতাংশ, সব থেকে কম সিলেটে ৭২.১ শতাংশ। বরিশালের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারী নির্যাতনের হার বেশি খুলনায় ৮১.৫ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকায় ৭২.৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৮.৫ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৭৫.১ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৪.৫ শতাংশ ও রংপুরে ৭৪.১ শতাংশ নারী জীবনে একবার হলেও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
জরিপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- সহিংসতার ঝুঁকির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য তারতম্য, যেমন- দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীরা তাদের জীবদ্দশায় এবং বিগত ১২ মাসের মধ্যে, অ-দুর্যোগ-প্রবণ এলাকার নারীদের তুলনায় জীবনসঙ্গী বা স্বামীর দ্বারা বেশি মাত্রায় সহিংসতার সম্মুখীন হন। জীবনসঙ্গী বা স্বামী কর্তৃক সহিংসতার মাত্রা বেশি হলেও সহিংসতার শিকার নারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কাউকে কখনো বলেননি।
আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবারের সুনাম রক্ষা করার আকাঙ্ক্ষা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং এ ধরনের সহিংসতা স্বাভাবিক বলে মনে করার প্রবণতাসহ বিভিন্ন কারণ থেকে মূলত এই নীরবতা।