সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে জাতি শক্তিশালী হয় না : কাদের গনি চৌধুরী

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানসহ সকল নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকই এর প্রকৃত মালিক, তবে অতীতের সরকার সেই মালিকানা সংকুচিত করেছিল। তাই জনগণ এখন তাদের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, সাহা সম্প্রদায় শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী একটি সম্মানিত ও গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী। এ দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান সর্বস্তরে স্বীকৃত।

শুক্রবার নরসিংদীর মাধবদীতে ‘সাহা ফাউন্ডেশন’-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের গনি চৌধুরী সাহা সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অতীতের কিছু শাসক অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন প্রিয়া সাহা, এবং তিনি তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। এ অনুষ্ঠানে প্রিয়া সাহার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি তার অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে সাহা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মলয় কুমার সাহার সভাপতিত্বে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, ড্রিম হলিডে পার্কের কর্ণধার ও সাহা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীর সাহাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে কাদের গনি চৌধুরীর হাতে সাহা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য না থাকলে দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আস্থার সংকট ও অবিশ্বাসের জন্ম দেয়, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করে। এখানে "ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার" নীতিতে বিশ্বাস করা হয়। জাতিগত ঐক্যের প্রমাণ হিসেবে ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭১, ১৯৯০ এবং ২০২৪ সালে এ জাতি বারবার সম্প্রীতির পরিচয় দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে লড়াই করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করে, যেমন—পহেলা বৈশাখ, ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপূর্ণিমা, বৈসাবি ও জাতীয় দিবসগুলো। এই ঐক্য ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।

Share this news on:

সর্বশেষ