শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল- এনসিপি’কে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। ফলাও করে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের খবর প্রকাশ করেছে এএফপি, এপি, আল-জাজিরা, রয়টার্সের মতো বিশ্ব সমাদৃত সংবাদমাধ্যমগুলো।
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ঘোষণা দিয়ে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আত্মপ্রকাশ করে নতুন দলটি। দলের নাম ঘোষণা করেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মো. ইসমাইল হাসান রাব্বির বোন মিম আক্তার।
বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবরে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো সম্মুখ সাড়ির বিক্ষোভকারীরা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সম্ভাব্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের এই নতুন দল। 'জাতীয় নাগরিক পার্টি' গঠন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ঘটনা বলেও উল্লেখ করা হয় রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে।’ কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সংবাদে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে লড়াই করতে নতুন দল গঠন করেছে’।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পরিবার পরিচালিত দল আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তবে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন নতুন দল এনসিপি বাংলাদেশের সেই রাজনীতিকে উল্টে দেয়ার আশা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। নতুন দলের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে বেশ বেগ পেতে হবে পদধারীদের।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি’র খবরের শিরোনাম ছিল, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে।’ নতুন দলের আত্মপ্রকাশের খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দ, পাকিস্তানেরে বার্তা সংস্থা ডন, জার্মানির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেও। সব প্রতিবেদনেই স্বাগত জানানো হয় নতুন রাজনৈতিক দলটিকে। তরুণদের হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি আরও এগিয়ে যাবে- এমন প্রত্যাশা করা হয় প্রতিবেদনগুলোতে।