রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক এমপির বাসা সন্দেহে একদল যুবকের হামলা। ছাত্র জনতা নামধারী যুবকদের অভিযোগ বাসাটিতে লুকিয়ে আছেন আওয়ামীলীগের দোসররা। এমনকি মজুদ আছে অবৈধ অস্ত্র। তবে, শেষ পর্যন্ত জানা গেলো কোন আওয়ামী এমপি আদৌ ঐ বাসাটির মালিক নন। উলটো অভিযানের নামে চালানো লুটপাট।
হামলাকারী এসব যুবকরা দাবি করেন বাসাটি, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে, সাবেক এমপি তানভীর ইমামের। এমন সন্দেহে বাসাটিতে অভিযানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে ছাত্র জনতার নামধারী কিছু সংখ্যক যুবক। তবে, তাদের সাথে ছিল না কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
তবে, ঘটনা শুরুর প্রায় ৩০ মিনিট পরে বাসাটিতে প্রবেশ করে গুলশান থানা পুলিশ। এরপর ওই যুবকরা বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর বাসায় প্রবেশ করেন সেবাহিনির একটি দল। তল্লাশি চালিয়ে বাসাটিতে কিছুই পাননি তারা। কিছুক্ষণ পর জানা যায় বাসার মালিক তানভির ইমাম নন, বরং বাসাটি জনৈক রহমান সাহেবের মেয়ের।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসাটির একজন পরিচর্যাকারী জানান, বাসায় তিনি ও দুই নারী গৃহকর্মী ছাড়া কেউ ছিলেন না। হঠাৎ করে বেশ কয়েকজন আধাঘণ্টা ধরে লাথি দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তল্লাশির নামে লুটপাট করে চলে যান তারা।
অভিযান শেষে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ অর্থের খবরে ওই বাসায় তল্লাশি করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় প্রশ্নও উঠেছে, গুলশান-২ এর ৮১ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে ছাত্র-জনতা নামে কেন তল্লাশি চালানো হল?
জানা গেছে, তল্লাশি চালানো বেশ কয়েকজন যুবককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, বাসাটিতে কেন তল্লাশি চালালো তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কেনই বা প্রবেশ করলো তারা। তবে, এমন ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
এসএম/টিএ