পুঁজিবাজারে জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি (এমজেএলবিডি) একটি সেকেন্ডহ্যান্ড অয়েল ট্যাংকার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ পর্ষদ সভায় এটি অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, ট্যাংকারটির নাম এমটি ওমেরা লিগ্যাসি। ট্যাংকারটি ২ কোটি ২৭ লাখ ডলারে বিক্রি করা হবে। গতকালের বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। বিক্রি প্রক্রিয়ার জন্য কমিশন হিসেবে ব্যয় হবে ৩ শতাংশ।
চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এমজেএলবিডির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ১ পয়সা।
আলোচ্য হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৪২ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এমজেএল বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে। ২০২২-২৩ হিসাব বছরে আয় ছিল ৩ হাজার ৭২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৫৪ কোটি টাকা বা ১৮ শতাংশ।
২০২৩-২৪ হিসাব বছরে এমজেএলবিডির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব যা ছিল ২৭৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৩ পয়সায়।
এমজেএলবিডি মূলত ইস্টকোস্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইসি সিকিউরিটিজ ও রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগ। এমজেএল বাংলাদেশ শিল্প ও যানবাহনে ব্যবহৃত লুব্রিক্যান্টস অয়েল ও গ্রিজ সরবরাহ করে। তাছাড়া অয়েল ট্যাংকার ও অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলপিজি ও সিলিন্ডারের ব্যবসাও রয়েছে এমজেএলবিডির।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমজেএলবিডির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭। এর মধ্যে ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০ দশমিক ৮১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এফপি/ টিএ