ঘুম থেকে ওঠার পর নাক বন্ধ? জানুন সমাধান

ঘুম থেকে ওঠার পর নাক বন্ধ হওয়া একটি বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা সৃষ্টি করে এবং দিনের শুরুটাই অস্বস্তিকর করে দেয়। এই সমস্যার পেছনে অ্যালার্জি, সাইনাসে রক্তক্ষরণ, শুষ্ক বাতাসসহ বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে, যা নাকের পথ বন্ধ করে দেয়। যদি আপনি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নাক বন্ধ পান, তাহলে শ্বাস নেওয়ার জন্য নিচের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনাকে সহজে
শ্বাস নিতে সাহায্য করবে।

১. হাইড্রেটেড থাকুন
সাইনাসের রক্তক্ষরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায়ের মধ্যে একটি হলো প্রচুর তরল পান করা। পানি, ভেষজ চা এবং ঝোল শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং নিষ্কাশন বৃদ্ধি করে। এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে তা নাকের ব্লকেজ কমাবে।

২. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
শুষ্ক বাতাস নাকের পথকে জ্বালাতন করে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে। হিউমিডিফায়ার বাতাসে আর্দ্রতা রাখে, আপনার সাইনাস শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং নাকের পথ খোলা রাখে।

৩. নাসাল ইরিগেশন
নেটি পট বা স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার করে স্যালাইন রিন্স ব্যবহার করলে নাকের পথ থেকে জ্বালাপোড়া, অ্যালার্জেন এবং অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বের হয়ে যেতে পারে, যা তাৎক্ষণিক উপশম প্রদান করে।

৪. ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করুন
মাথা উঁচু করে ঘুমালে সাইনাসে শ্লেষ্মা জমা হওয়া রোধ করা যায়। অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন অথবা মাথা সামান্য উঁচু করে বিছানা ঠিক করার চেষ্টা করুন।

৫. গরম পানিতে গোসল বা ভাপ নেওয়া
বাষ্প নাকের পথ পরিষ্কার করতে পারে এবং শ্লেষ্মা আলগা করতে পারে। সকালে গরম পানিতে গোসল করলে বা গরম পানির পাত্র থেকে বাষ্প শ্বাস নিলে তা রক্ত ​​জমাট বাঁধা থেকে প্রায় তাৎক্ষণিক উপশম দিতে পারে।

৬. প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করুন
ইউক্যালিপটাস এবং পেপারমিন্ট তেলে প্রাকৃতিকভাবে কনজেস্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডিফিউজারে কিছু ফোঁটা দিলে বা বুকে রাখলে নাকের পথ পরিষ্কার থাকে। এতে শ্বাস নেওয়া সহজ হয়।

৭. ওষুধ ব্যবহার
ডিকনজেস্ট্যান্ট স্প্রে, অ্যান্টিহিস্টামাইন এবং নাকের স্ট্রিপ সাময়িক উপশম প্রদান করতে পারে। তবে নাকের স্প্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, কারণ অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পুনরায় কনজেশন হতে পারে। এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।


এমআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ Nov 06, 2025
img
ভারতে ভোটার তালিকায় ব্রাজিলিয়ান মডেলের ছবি, ভোট দিয়েছে ২২ বার Nov 06, 2025
img

একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক

বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নির্দেশনা Nov 06, 2025
img
পাকিস্তান থেকে পাখির খাদ্যের নামে এলো ২৫ টন মাদক Nov 06, 2025
img
নির্বাচিত হলে 'একটি বন্ধু সংগঠন'সহ সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করবো : জামায়াত আমির Nov 06, 2025
img
৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের Nov 06, 2025
img
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ Nov 06, 2025
img
হাসপাতালে থেকেও ইতিবাচক বার্তা অভিনেতা জিতু কমলের Nov 06, 2025
img
মুক্তিযুদ্ধ-বাহাত্তরের সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেব না : আইনজীবী পান্না Nov 06, 2025
img
ফজলুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়েছে : জিল্লুর রহমান Nov 06, 2025
img
৬ জেলেকে তুলে নিয়েছে আরাকান আর্মি Nov 06, 2025
img
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে জনসমক্ষে চুমু দেওয়ার চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার Nov 06, 2025
img
সেকেন্ড লাইফ হিসেবে কোচিং করার কথা ভেবেছিলাম: মোহাম্মদ আশরাফুল Nov 06, 2025
img
বিএনপি-জামায়াতকে ‘মল্লযুদ্ধ’ বন্ধ করার আহ্বান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর Nov 06, 2025
img

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

একটি দল নিজস্ব কিছু ব্যক্তিকে মানুষের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে Nov 06, 2025
img
প্রযুক্তির উন্নতি ও অগ্রগতি, মানবদেহে প্রাথমিক পরীক্ষায় সফল ক্যান্সারের টিকা Nov 06, 2025
img
তারেক রহমানের দলকে নিবন্ধন দিলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : নাছির উদ্দীন নাছির Nov 06, 2025
img
বিনানুমতিতে ম্যানেজিং কমিটিতে থাকায় শাস্তি পেলেন উপসচিব Nov 06, 2025
img
জিতুকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছালেন শ্রাবন্তী Nov 06, 2025
img
বিশ্বকাপ জয় ও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে রোনালদো এবং মেসির ভিন্নমত Nov 06, 2025