জনগণের মালিকানা এবং গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এতে জনগণের কোনো সমর্থন নাই। যারা জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না তারাই বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি করছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বার্ষিক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘একটি মুক্ত বাংলাদেশে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করে আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে চলছি। এই সময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিায় মিডিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তারা মিডিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্নভাবে মিডিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের সাবধান থাকতে হবে। আপনাদের জনগণের অধিকার, জনগণের সরকার ফিরে পাওয়ার যে সংগ্রাম সে সংগ্রামে মিডিয়ার শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার মূল স্তম্ভ হচ্ছে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র পথ, দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। আর তার বাহক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তার বাহক হচ্ছে নির্বাচন। তার অপেক্ষায় বাংলাদেশের মানুষ আছেন এই মুহূর্তে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে, একটি অগণতান্ত্রিক পরিবেশে। যেখানে জনগণের প্রতিনিধি দেশ পরিচালনা করছে না।
যেখানে জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখের কথা শোনার সেই দায়িত্বপূর্ণ, জনগণের কাছে জবাবদিহি, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এ রকম একটি সরকারের অপেক্ষায় সবাই আছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বিগত তিনটি নির্বাচনে যারা ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই, তারা ভোট প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অপেক্ষায়, নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়, জবাবদিহি এবং দায়বদ্ধ সরকারের প্রতিক্ষায় জনগণ আছে।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও প্রেস ক্লাব অন্তর্বতী কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সহসভাপতি খায়রুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান প্রমুখ।
আরএইচ/টিএ