বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে, তাই পুষ্টির চাহিদা পূরণে খাদ্যাভ্যাসেও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা জরুরি। ৪০ বছরের বেশি বয়সী অনেক নারীই প্রায়ই ক্লান্তি অনুভব করেন, হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে মাথা ঘোরা অনুভব করেন বা চোখের নিচে কালো দাগ দেখতে পান।
অলিম্পিক স্পোর্টস নিউট্রিশনিস্ট রায়ান ফার্নান্দোর মতে, এগুলো শুধু ক্লান্তির লক্ষণ নয়, বরং পুষ্টির ঘাটতিরও ইঙ্গিত দিতে পারে। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে নারীদের রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন যে যদি আপনি উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তাহলে আপনার শরীরে তিনটি মূল পুষ্টির অভাব হতে পারে - আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি১২। বিশেষজ্ঞের মতে, এই তিনটি একটি দলের মতো কাজ করে এবং যখন একটি কম থাকে, তখন অন্যগুলোও লড়াই করে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের কথা জেনে নিন-
১.আয়রন
যুক্তরাজ্যের NHS (জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা) অনুসারে, শরীরে অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ। আয়রের অভাব আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করতে পারে। শরীরে আয়রনের মাত্রা কম থাকলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, শরীরের ১৮ মিলিগ্রাম আয়রনের প্রয়োজন যা অর্গান মিট, পালং শাক এবং মুষ্টিমেয় বাদামের মতো খাবার থেকে পাওয়া যায়।
২. ফোলেট
ফোলেট ছাড়া শরীর সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না বা সঠিকভাবে আয়রন শোষণ করতে পারে না। ফোলেটের জন্য প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা প্রয়োজন যা কেবল একটি বিটরুট, একটি কমলালেবু বা এক কাপ রান্না করা ব্রকলি থেকে পাওয়া যেতে পারে।
৩. ভিটামিন বি১২
হার্ভার্ড হেলথের মতে, ভিটামিন বি১২ মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু সুস্থ রাখার জন্য এবং ডিএনএ ও লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য অপরিহার্য। বি১২ হোমোসিস্টিনের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে, যা একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি ডিমেনশিয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অস্টিওপোরোসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞ আরও বলেন যে, ভিটামিন বি১২ ফোলেট আনলক করার জন্য অপরিহার্য যাতে এটিতা শরীর কাজে লাগাতে পারে। দুধ, মাছ বা শক্তিশালী খাবার থেকে ২.৬ এমসিজি ভিটামিন বি১২ পেতে পারেন।