সোসিয়েদাদকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আমোরিমের দল। যেখানে তারা মোকাবিলা করবে ফরাসি ক্লাব লিওঁর। প্রথম লেগে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ইউনাইটেডের অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেস দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ৪-১ গোলের জয়ে (দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২) ইউনাইটেড নিশ্চিত করেছে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল।
রুবেন আমোরিমের অধীনে প্রথম বছরেই কোনো শিরোপা জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এবং আগামী মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ ধরে রাখতে ইউনাইটেডের জন্য এই জয় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ম্যাচের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো।
দশম মিনিটের মাথায় ডাচ ডিফেন্ডার ম্যাথাইস ডি লিট রিয়াল সোসিয়েদাদের মিখেল ওইয়ারজাবালকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট-কিক থেকে ওইয়ারজাবাল সহজেই গোল করে সফরকারীদের এগিয়ে দেন।
তবে ইউনাইটেড দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায়। মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে ফার্নান্দেস পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। এই পেনাল্টি আসে, যখন রাসমুস হজল্যান্ডকে ফাউল করেন ইগোর সুবেলদিয়া। রাতে একের পর এক নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন ইউনাইটেড তৃতীয় পেনাল্টির সুযোগ পায়। প্যাট্রিক ডোর্গুকে ফাউল করার কারণে রিয়াল সোসিয়েদাদের ডিফেন্ডার আরিতজ এলুস্তোন্দোর বিরুদ্ধে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এলুস্তোন্দো বেশ কিছুক্ষণ রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান, শেষ পর্যন্ত তা কোনো কাজে আসেনি।
৫০ মিনিটে ফার্নান্দেস ঠান্ডা মাথায় স্পট-কিক থেকে গোল করেন। ৬৩ মিনিটে ডোর্গুকে ফাউল করে জন আরামবুরু লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল সোসিয়েদাদ। ইউনাইটেড এখানেই থামেনি। শেষ বাঁশি বাজার আগেই তারা আরও দুটি গোল করে। ৮৭ মিনিটে ফার্নান্দেস তার হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন নিচু শটে বল পাঠিয়ে জালে জড়িয়ে। অতিরিক্ত সময়ে তার পর্তুগিজ সতীর্থ দিয়েগো দালত ইউনাইটেডের হয়ে চতুর্থ গোলটি করে নিশ্চিত করেন দলের দুর্দান্ত জয়।