রমজানে পানিশূন্যতার লক্ষণ এবং সতর্কতা

রমজান মাসে অনেকেই পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে থাকেন। যদি সচেতনভাবে পর্যাপ্ত পানি বা পানীয় পান না করা হয়, তবে মৃদু থেকে বিপজ্জনক পানিশূন্যতার শিকার হওয়া খুবই সম্ভব। মৃদু পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো এমন যে, গুরুতর সমস্যা না হলে অনেকেই সেগুলো গুরুত্ব দেন না। তবে, রমজানে এই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে নিয়মিত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।তাই লক্ষণগুলো জানা খুব জরুরি, যেন বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই আপনি তা সমাধান করে ফেলতে পারেন।

তাহলে জেনে নেওয়া যাক পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো—

বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া
মুখের ভেতর অতিরিক্ত শুকনো লাগা। পানি খেলেও তৃষ্ণা বোধ হওয়া। এমন হলে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন খেলে অল্প সময়েই উন্নতি অনুভব করতে পারবেন।

মাথা ব্যথা করা
মাথা ব্যথা আসলে অনেক ধরনের সমস্যাকেই নির্দেশ করতে পারে।
তবে পানি কম খাওয়া হলে মাথা ব্যথা করা, মাথা ভার লাগা খুবই স্বাভাবিক। তাই মাথা ব্যথায় শুরুতেই ওষুধ না খেয়ে প্রথমে অল্প অল্প করে এক-দুই গ্লাস পানি খান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখুন, পানিশূন্যতার জন্য মাথা ব্যথা হলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

মাথা ঘোরা ও ক্লান্ত বোধ হওয়া
খুব বেশি পরিশ্রম না করেও অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা এবং মাথা ঘোরা পানিশূন্যতার লক্ষণ।
এই লক্ষণগুলোর সঙ্গে ইলেকক্ট্রোলাইটেরও সম্পর্ক আছে। তাই এ পরিস্থিতিতে শুধু পানির বদলে বাড়িতে বানানো শরবত, স্যালাইন, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক জাতীয় পানীয় পান করতে পারেন। এতে দ্রুত শক্তি ফিরে পাবেন।

চোখ বসে যাওয়া
চোখে নিচে বসে গেলে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কালো মনে হলে দ্রুত শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার দিকে খেয়াল করুন।

প্রস্রাবের অস্বাভাবিকতা
কম প্রস্রাব হওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় গাঢ় রঙের প্রস্রাব হওয়া এবং তীব্র গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের অর্থ হলো- শরীরের বর্জ্য বের করার জন্য কিডনি যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না।এতে কিডনির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হলে শরীরে তরলের পরিমাণ কমে যায়, ফলে প্রস্রাবও কম হয়।


এ ছাড়া ডিহাইড্রেশন কিডনিকে আরো তরল ধরে রাখতে উদ্দীপিত করতে পারে। যার ফলেও প্রস্রাব কম হয়। যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড থাকেন তখন আপনার প্রস্রাবে বেশি পানি থাকে এবং এটি হালকা রঙের দেখায়। ডিহাইড্রেশন হলে আপনার প্রস্রাব বেশি ঘন হয়ে যায়
এবং গাঢ় রঙের হয়।

শরীরে পানির অভাব হলে টিস্যুগুলোতে প্রয়োজনীয় তরলের পরিমাণ কমে যায়, যা আপনাকে ক্লান্ত অনুভব করাতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী পানিশূন্যতা ফলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি থেকে শুরু করে আরো নানান জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।


এমআর

Share this news on: