গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন। যাতে জনগণ সমর্থন দেয় এই সংবিধানকে সংস্কার করে কীভাবে গণতান্ত্রিক সংবিধান বানানো যায়। তাহলে এ সংস্কার কেউ বদলাতে পারবে না, কারণ জনগণের সমর্থনই সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের একটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার শেষ করার প্রস্তাব দিয়েছি। আর সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন একই সঙ্গে সরকার গঠনেরও নির্বাচন। নির্বাচনের পর প্রথম থেকেই সরকার গঠন ও সংবিধান সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এই তিনটা গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায়ে আমরা সবাইকে নিয়ে আগামী দিনে লড়াই করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ আগস্টের পর থেকে বারবার বলছি ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যমত্য গড়ে তুলুন। পার্থক্য আছে বলে আমাদের ঐক্যটা দরকার। এই অভ্যুত্থানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা নতুন বাংলাদেশ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।
বরিশাল জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড। সভা পরিচালনা করেছেন, সংগঠনের জেলা শাখার নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ ও সদস্য হাসিব আহমেদ।
আরএইচ/টিএ