হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো গণতন্ত্র পাইনি : শামা ওবায়েদ

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।

শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দায় সরকারি মহেন্দ্র নারায়ন একাডেমি মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই, যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর জেল খেটেছেন।’

জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। আজকে সেই ভয়ঙ্কর সময় আমরা পার করে এসেছি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালায় গেছেন। কিন্তু আমরা এখনো গণতন্ত্র ও ভোটারাধিকার ফিরে পাইনি।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, সেটা চলতে থাকবে। বিএনপি প্রথমেই সংস্কারের কথা বলছিল। সরকারের উচিৎ সর্বপ্রথম নির্বাচনের জায়গা সংস্কার করে নির্বাচন নিশ্চিত করা।

আপনারা তখনই সফল হবেন, যখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।’

নিজের বাবা মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমার বাবা কে এম ওবায়দুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করেছেন।

যে কারণে আমার বাবা জেলে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। হাসিনা আমার বাবাকে জেল হত্যার মতো একটি জঘন্য মামলা দিয়ে কারাগারে নির্যাতন করেছে। আমার বাবাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় শেখ হাসিনা।’

নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে স্বরণসভায় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদারেস আলী ঈসা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমুখ।

এ ছাড়া জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের বর্ণীল রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস তুলে ধরেন।

এর আগে, মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা-উপজেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।


এসএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এইচএসসির খাতা মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগে ৮ পরীক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ Jul 21, 2025
img
যারা মবতন্ত্র কায়েম করতে চায়, তারাই নির্বাচনবিরোধী : টুকু Jul 21, 2025
img
স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জার্সি পরে ম্যাচ উপভোগ করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার Jul 21, 2025
img
চট্টগ্রামে পদযাত্রার সমাবেশ শেষে এনসিপির দু'পক্ষের হাতাহাতি Jul 21, 2025
img
এএফসির নিয়ম ভেঙে শাস্তি পেলো বাফুফে Jul 21, 2025
img
অন্ত্রের প্রদাহ ও পানিশূন্যতায় ভুগছেন নেতানিয়াহু Jul 21, 2025
img
‘ওরা হয়ত মানিয়ে নিতে পারেনি’ হেসনের সমালোচনার জবাবে ইমনের মন্তব্য Jul 21, 2025
img
বাংলাদেশে আপনি খুব একটা ভালো উইকেট পাবেন না : ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক Jul 21, 2025
img
যদি কখনও জেলে যাই, উঁচু কমোড কি পাব: প্রেস সচিব Jul 21, 2025
img
চিকিৎসার খোঁজ নেওয়ায় সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জামায়াত আমিরের Jul 21, 2025
img
মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ Jul 20, 2025
img
রাজবাড়ীতে হেলিকপ্টারে চড়ে ইমামের রাজসিক বিয়ে Jul 20, 2025
img
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে মির্জা ফখরুলের মন্তব্য Jul 20, 2025
img
জিম্বাবুয়ের হ্যাটট্রিক হার, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়, টাইগারদের অভিনন্দন জানাল আসিফ মাহমুদ Jul 20, 2025
img
‘ডিজিটাল সুবিধা নাগরিক সেবা কেন্দ্রের আওতায় আনা হচ্ছে’ Jul 20, 2025
img
টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক পলিসির খসড়া পর্যালোচনায় কমিটি গঠন Jul 20, 2025
img
ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকারকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়াচ্ছে লিভারপুল! Jul 20, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন ২ হাজার বাংলাদেশি Jul 20, 2025
img
রাবণের চোখে রামায়ণ, স্বপ্নের ছবির কথা জানালেন মানচু বিষ্ণু Jul 20, 2025