ঈদ এলেই অতিরিক্ত লাভের আশার দ্রুত সময়ের মধ্যে তড়িঘড়ি করে ফিটনেসবিহীন ও লক্কড়ঝক্কড় বাস মেরামত ও বডি রং করান মালিকরা।
এতে বাইরে থেকে বাস দেখে ভালো লাগলেও ভেতরটা থাকে আসলে ফাঁপা। ফলে দূরপাল্লার সড়কে অনেক সময় এসব গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা, সড়কে তৈরি হয় গাড়ির জট।
শনিবার (২২ মার্চ) এমন বাসের খোঁজে নেমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গাবতলী এলাকার ওয়ার্কশপগুলোতে ফিটনেস বিহীন বাস খুঁজছেন।
ওয়ার্কশপগুলো ঘুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দল ও পুলিশ সদস্যরা কাজ চলমান থাকা গাড়িগুলোর নম্বর টুকে নেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইন সিস্টেমে ফিটনেস আছে কিনা সেটা চেক করছেন। ওয়ার্কশপকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, আপনারা আপনাদের প্যাডে লিখিত দেন যেসব গাড়ির ফিটনেস নেই এবং তাড়াহুড়ো করে ঈদের আগে ঠিক করতে চাওয়া হচ্ছে, এইসব গাড়িকে আগামী ১৪ এপ্রিলের আগে কোনো ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া এমন গাড়ির ছাড়পত্র যেন আপনাদের ওয়ার্কশপ থেকে দেওয়া না হয়। এসব গাড়ি রাস্তায় বের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, ঈদুল ফিতরের প্রচুর মানুষ ঢাকা থেকে বাড়ি যাবে এবং বাড়ি থেকে ঈদের পরে আবার ঢাকায় ফেরত আসবে। যেসব গাড়ি লক্কড়ঝক্কড় এবং ফিটনেস নেই এমন কোনো গাড়ি যাতে রাস্তায় না নামতে পারে সেজন্য আমরা গাড়ির ওয়ার্কশপগুলোতে এসে সচেতনতামূলক মোবাইল কোট করছি। আমাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা আছেন। আমরা ওয়ার্কশপকর্মীদের বলেছি এ ধরনের কোনো গাড়ি যেন রাস্তায় না নামে।
তিনি আরও বলেন, এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচল করলে হঠাৎ করে গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং যান চলাচলে দীর্ঘ একটা সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় মানুষের জীবনে হুমকির মুখে পড়ে। এটি যাতে প্রতিরোধ করতে পারি, এজন্য ওয়ার্কশপগুলোতে সচেতনমূলক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। আমরা তাদের সতর্ক করছি, সচেতন করছি।
এফপি/এসএন