'আ.লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শের কোনো রাজনীতি আর চলবে না' : এনসিপির আখতার

'ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শের কোনো রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না।' সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল, কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে এনসিপির সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, 'শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে আর স্বনামে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। আর পুনর্বাসিত হতে দেয়া হবে না।' আখতার বলেন, ‘কোনো শান্তিপূর্ণ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়নি। হাজারও মানুষের জীবন আর রাজপথ ভরা রক্তের মধ্য দিয়ে খুনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার এ দেশের মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। সাম্য ও মানবিক মর্যাদার জন্য যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের বদলে বাকশাল কায়েম করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ যে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন যুদ্ধ করেছিল, সে গণতন্ত্রের মুখে চুনকালি দিয়ে ১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনের নামে কলঙ্ক উপহার দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল ওই পতিত আওয়ামী লীগ।’

বাংলাদেশের মানুষ তাদের জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা রাজপথে তাদের জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানিয়েছিল। আমাদের চোখের সামনে আমাদের ভাইদের জীবন দিতে দেখেছি। তাদের রক্তের শপথ, আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে আর স্বনামে রাজনীতি করতে দেবো না। আর পুনর্বাসিত হতে দেয়া হবে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাত মাসেও সরকার আওয়ামী লীগের বিচারের কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। অবিলম্বে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অবিলম্বে নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, না করলে ছাত্র-জনতা আবার রাজপথে এসে নিবন্ধন বাতিল করিয়েই ছাড়বে।’

আওয়ামী লীগে কোনো ভালো নেতৃত্ব নেই উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা শক্তি আওয়ামী লীগকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তার সর্বাত্মক প্রতিরোধ করা হবে। আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শের কোনো রাজনীতি চলবে না, সে নিশ্চয়তা দিতে হবে। জুলাই চার্টারে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কথা থাকতে হবে।’

এসএম

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 04, 2025
img
মাল্টা ও লিবিয়া উপকূলে অভিযান, উদ্ধার ১১৭ অভিবাসী Jul 04, 2025
img
বনানীর জাকারিয়া হোটেল হামলা: অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেফতারে চলছে পুলিশের অভিযান Jul 04, 2025
img
পিআর চায় অযোগ্যরা, ব্যালট চায় জনগণ : আমিনুল হক Jul 04, 2025
img
ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের Jul 04, 2025
img
বিয়ের আগের দিন ক্যাম্পাসে এসে আটক জবি ছাত্রলীগ নেতা Jul 04, 2025
img
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব ও মাশরাফির মতো আমারও ভুল হয়েছে’ Jul 04, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান ক্লাসেনের Jul 03, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করায় একই কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Jul 03, 2025
img
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পঞ্চাশ বছরেও কোনো সরকার বন্ধ করতে পারে নাই : নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
পনেরো বছর পর গানে ফিরলেন শঙ্কর চক্রবর্তী Jul 03, 2025
img
‘বর্ডার ২’ করলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দিলজিতের Jul 03, 2025
স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক;শ্রীঘরে মানবাধিকার কর্মী Jul 03, 2025
বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে যে জটিলতার কথা জানালেন তারেক Jul 03, 2025
ছোট উদ্যোক্তাদের বিপদে ফেলতে পারে বিটিআরসি নীতি, অভিযোগ বিএনপির Jul 03, 2025
যেকারনে হোয়াইট হাউস থেকে বেড়িয়ে যেতে হয় জাকারবার্গকে Jul 03, 2025
মাত্র ৮ মাসেই বদল পররাষ্ট্র সচিব, নীতিহীনতায় অচল মন্ত্রণালয়! Jul 03, 2025
চাঁ'দা না পেয়ে রাজবাড়ী বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম Jul 03, 2025
সুভাষ ঘাইয়ের নতুন সিনেমায় ‘হিরোইন’ চরিত্রে অভিনেতা রীতেশ Jul 03, 2025
img
নতুন চমকের আভাস দিলেন রণবীর সিং Jul 03, 2025