সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবাদকর্মীরা ছবি ও ভিডিও করতে গেলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন নেতাকর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা ইফতার অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে যান। পরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে নগরীর বালুচর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট জেলা এনসিপির উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, পেশাজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।
এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা নাসির, গালিবসহ অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন ইফতার মাহফিলে এসে হট্টগোল ও হাতাহাতি করে বেরিয়ে যায়। ইফতার পরবর্তী সময়েও তারা হাতাহাতিতে জড়ায়।
ইফতার শেষে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে এনসিপির ইফতার মাহফিল আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইফতার অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে এনসিপির যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে এখনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে টাইমফ্রেম দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যারাই বিরোধিতা করবে, তাদের সঙ্গে এনসিপির যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ক্যান্টনমেন্টসহ বিভিন্ন মহলের চাপ প্রয়োগ বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাসীরউদ্দীন বলেন, এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত। সেনাবাহিনীর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে কোনো কনফ্লিক্ট সৃষ্টি হবে না।
আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর কাজ যে করবে, তাদের শক্ত হাতে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, অর্পিতা শ্যামা দেব, অনিক রায়, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ, সদস্য ব্যরিস্টার নুরুল হুদা জুয়েল।
ইফতারে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএ/এসএন