ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছেও লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মায়াবী স্পর্শ এখনও চমকে দেয় বিশ্বকে। ৩৮-এ মেসি আর ৪০-এ রোনালদো—বয়স যেন কেবল সংখ্যা মাত্র। পারফরম্যান্সে বয়সের রেখা ফুটে উঠলেও, মাঠে নামলে তাঁরা যেন সময়কে থামিয়ে দেন। অতীতের মতো প্রতিপক্ষদের ছিন্নভিন্ন করা এখনও তাঁদের অভ্যাসেরই অংশ।
এই দুই কিংবদন্তির পায়ে এখনো দেখা যায় ফুটবলের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।
তবে গত দুই দশক যা করে এসেছেন তা এখন প্রতি ম্যাচে করতে পারেন না রোনালদো-মেসি। এতে করে দেখা যায়, অনেক সময় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। আবার ফুটবল দলীয় খেলা হওয়ায় সাফল্যরও প্রয়োজন হয়। তবে ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে এশিয়া ও আমেরিকায় আসা দলীয় সাফল্য তেমন পায়নি তারা।
এতে করে সমালোচনাটা আরো জোরাল হয়।
বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকাকে আবার মেসি-রোনালদোর ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়। এতে করে এক পক্ষ আরেক পক্ষের নানা সমালোচনা করেন। যদিও আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি ও পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদো একে-অপরের বেশ প্রশংসাই করেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পর্তুগালের সাবেক ফরোয়ার্ড নানি জানিয়েছেন, সমালোচনা না করে বরং যতদিন তারা খেলছেন তা উপভোগ করুন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনেক সমালোচনা করি রোনালদো-মেসির। তারা যেদিন অবসর নেবেন তখন ফুটবলও আগের মতো আর থাকবে না। তারা বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর নজর থেকে বাদ পড়ায় কিছুটা হয়তো পরিবর্তন এসেছে।
তাই যতদিন তারা মাঠে থাকবে ততদিন তাদের খেলাটা উপভোগ করি। ’আল নাসরের সঙ্গে রোনালদো নতুন করে আরো দুই বছরের চুক্তি করায় স্বদেশীকে ‘মেশিন’ বলেও সম্বোধন করেছেন নানি। তিনি বলেছেন, ‘সে একজন মেশিন। অন্য রকম এক খেলোয়াড়। ফুটবলের যে স্তরে পৌঁছেছে তাতেই বোঝা যায়।’
আইআর/ টিএ