ভারতের অসহযোগিতায় কি ভোগান্তিতে বাংলাদেশ দল?

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ভারতের ম্যাচের আগে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। একের পর এক অনুশীলন জটিলতায় বিপাকে পড়েছেন হামজারা। নিয়ম অনুযায়ী সফরকারী দলকে ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে শহরে পৌঁছাতে হবে এবং অনুশীলনের জন্য ম্যাচ ভেন্যুতে নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ দিতে হবে স্বাগতিকদের। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দল আগেভাগে শিলং পৌঁছালেও ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারছে না।

প্রথম দিন উত্তর-পূর্ব পার্বত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুশীলন করেছে দল। দ্বিতীয় দিন অনুশীলন করে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে। কিন্তু কোনো মাঠই আন্তর্জাতিক মানের প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত নয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান জানান, স্বাগতিকদের সিদ্ধান্তহীনতায় বাংলাদেশ দলের ভোগান্তি বাড়ছে।

আমের খান আরও জানান, রাতে এক ধরনের সিদ্ধান্ত হয়, সকালে সেটা বদলে যায়। গত দুই দিন এমনই হয়েছে। কাল রাতে জানানো হলো জওহরলাল স্টেডিয়ামের টার্ফে অনুশীলন হবে, কিন্তু সকালে বলা হলো নেহু গ্রাউন্ডে যেতে।

তবে পুরো দোষ কি ভারতের? নাকি বাংলাদেশেরও ঘাটতি আছে? বাংলাদেশ এএফসির নির্দেশনা মেনে ম্যাচের আগের দিন ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ পেতেই পারতো। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত আগেভাগে শিলং পৌঁছানোর কারণে। ভেন্যুর বাইরে বাড়তি দিন অনুশীলনের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই দেশের ফেডারেশনের সমঝোতা। তা না করায়, বাংলাদেশকে এখন মাঠ ভাড়া, অ্যাম্বুলেন্স আর স্টাফ সংক্রান্ত বাড়তি খরচ মেটাতে হচ্ছে।

ভারতের ইনজুরিতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতির সুযোগ নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ২০ মার্চ শিলং পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু খেলোয়াড়দের আবহাওয়া এবং কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পরিকল্পনাটা সফল হয়নি। সৌদিতে গরম আবহাওয়ায় অনুশীলন শেষে শিলংয়ের ঠান্ডা পরিবেশে এসে দলের ছন্দে প্রভাব পড়েছে। বিশেষত হামজা চৌধুরি মাত্র এক সেশন অনুশীলন করেই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবেন।

এমআর/টিএ

Share this news on: