বিশাল এক সিংকহোলের মধ্যে পড়ে সিউলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এএফপি। উদ্ধারকারীরা মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহটি মাটির গভীর থেকে উদ্ধার করেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে বিশাল সিংকহোলটি হুট করে দেখা দেয়।
স্থানীয় দমকল বিভাগ জানিয়েছে, গ্যাংডং জেলায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় একজন গাড়ি চালকও আহত হয়েছেন। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে মোটরসাইকেলসহ ওই ব্যক্তির গর্তে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তটি।
স্থানীয় একজন আইন প্রণেতা এএফপিকে একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে হঠাৎ করে গর্তটি তৈরি হচ্ছে এবং একটি মোটরবাইক তাৎক্ষণিকভাবে সেই গর্তে পড়ে যাচ্ছে। আরো একটি গাড়ি অল্পের জন্য একই পরিণতি থেকে রক্ষা পায়।
ঘটনার পরেই ১৭ ঘণ্টা ধরে উন্মত্ত অনুসন্ধান চলে।
উদ্ধারকর্মীরা ওয়েটস্যুট পরে এবং একটি উদ্ধারকারী কুকুরসহ মোটরসাইকেল আরোহীকে খুঁজতে শুরু করেন। আবশেষে আজ মঙ্গলবার ৩০ বছর বয়সী নিখোঁজ সেই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে সিংকহোলের কেন্দ্ররেখা থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে পাওয়ায় গেছে।
উদ্ধারকারীরা গর্তে মৃতদেহের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেলটি খুঁজে পান। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
গ্যাংডং ফায়ার স্টেশনের একজন কর্মকর্তা কিম চ্যাং-সিওপ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘তিনি প্রায় ৯০ সেন্টিমিটার (তিন ফুট) গভীরে চলে গিয়েছিলেন। অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে, তার হেলমেট এবং মোটরসাইকেলের বুট তখনো পরা ছিল। তবু আমরা আরো ভালো খবর দিতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
গর্তটি এখন প্রায় ২০ মিটার (৬৬ ফুট) প্রশস্ত এবং ২০ মিটার গভীর বলে দমকল বিভাগ জানিয়েছে। নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে মঙ্গলবার কাছাকাছি কয়েকটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিংকহোলের কারণ তদন্ত করা হবে, তবে দুর্ঘটনাটি এমন একটি স্থানে ঘটেছে, যেখানে মেট্রো লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সিংকহোলের দুর্ঘটনা বিরল। প্রতিবছর গড়ে ২০০টিরও কম ঘটনা রিপোর্ট করা হয়। প্রতিবেশী জাপানে রেকর্ড করা সংখ্যার তুলনাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম।