যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নির্দেশিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। জার্মান নাগরিকসহ বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে আটকের ঘটনায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো। পাশাপাশি জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভ্রমণকারী জার্মান নাগরিকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
একজন মুখপাত্র সরকারি গণমাধ্যম এআরডির তাগে/সচাউ/কে বলেন, ‘‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের অনুমতি পেতে শুধু ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন অনুমোদন বা মার্কিন ভিসাই যথেষ্ট নয়। এসব অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে।’’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩ জন জার্মান নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন গ্রিন কার্ডধারীও ছিলেন। পরে তাদের দুইজনকে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যও তাদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নির্দেশিকায় পরিবর্তন এনেছে।
এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় এবং যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে আটক বা নির্বাসিত করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস জানিয়েছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় নাগরিকদের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর চলতি মাসের শুরুতে নিশ্চিত করেছে যে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আটক এক ব্রিটিশ নাগরিককে সহায়তা করেছে। এছাড়াও ফিনল্যান্ডও শুক্রবার একই ধরণের ভ্রমণ নির্দেশিকায় পরিবর্তন এনে বলেছে, যথাযথ বৈধ ভ্রমণ নথি বর্তমান মার্কিন নীতির অধীনে প্রবেশের নিশ্চয়তা নাও দিতে পারে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর মধ্যে ভিসা বা ইস্তা আবেদনকারীকে তার লিঙ্গ ও জন্মের সময়ের লিঙ্গ বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে বলেছে। এক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি পেলে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও ফিনিশ কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীদের সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে জনসমাগম এড়িয়ে চলে। কারণ ওইসব স্থানে রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন কর্তৃপক্ষ। ফিনল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম ইয়েলের মতে, এই কঠোর নীতিমালা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ক্রমবর্ধমান রূপকে তুলে ধরে।
টিএ/