পরিবারের সদস্যরা জানতেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন তামিম। এমন সময় আকরাম খানের কাছে ফোন এলো। জানানো হলো- তামিম ইকবাল আর বেঁচে নেই। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম, তার ভাতিজা ও আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিমের বেঁচে ফেরা নিয়ে এতটাই উচ্ছ্বসিত কেন- তা নিশ্চয়ই এবার স্পষ্ট।
২৪ মার্চ ডিপিএল খেলতে এসে হার্ট অ্যাটাক করা তামিম ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সেই পরিস্থিতি থেকে তামিমের বেঁচে ফেরা কাকতাল বলেই মনে হচ্ছে সবার কাছে।
আকরাম বলেন, 'যখন আমি খবরটা পেয়েছি, দ্য নিউজ ওয়াজ ভেরি ব্যাড। আমাকে বলা হলো তামিম আর বেঁচে নেই। এটা কল্পনা করতে পারিনি। কোনো দিন ভাবিওনি এ ধরনের খবর শুনব। এত অল্প বয়সী ছেলের মতো। এরপর ঘণ্টা দেড়েক বাড়িতেই ছিলাম। খুব আপসেট ছিলাম। ঘণ্টা দেড়েক পর ডাক্তাররা কল করলেন কনফারেন্সে। বললেন রিং লাগানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছে। তখন একটু স্বাভাবিক হয়েছি। যেহেতু রিং লাগাতে যাচ্ছে তার মানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে।'
'স্পোর্টসের সাথে থাকা লোক, যে অসুস্থ হওয়ার আগের ১০ দিনে দুইটা সেঞ্চুরিও করেছে… কল্পনা করা যায় না। আমার সাথে সবাই খুব আপসেট হয়েছেন।'
তামিমের সুস্থতার জন্য চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা তো আছেই, ভক্ত-সমর্থকদের দোয়ারও কৃতিত্ব দেখছেন আকরাম খান। জানালেন, সাভার কেপিজে হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত তামিমকে শীঘ্রই বিদেশে নিয়ে যাবে পরিবার।
তিনি বলেন, 'তামিম যে জায়গা থেকে ফিরে এসেছে, আপনাদের দোয়া ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। প্রচুর কল-ম্যাসেজ পাচ্ছি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কাল ডাক্তারের সাথেও কথা হয়েছে- এ ধরনের রোগী ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। আল্লাহ রহমতে ও ফিরে এসেছে।'
'এখন সে পর্যবেক্ষণে আছে। আরও ২-৩ দিন এই অবস্থায় থাকলে বাসায় নিয়ে আসতে পারব। যে চিকিৎসা হওয়ার তো হয়ে গেছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করাব। দুশ্চিন্তা রাখতে চাচ্ছি না।
এসএন