টিকটক ছেড়ে দিন, শুল্ক সহজ করে দেব: চীনকে ট্রাম্প

“টিকটক নিঃসন্দেহে বড় একটি প্লাটফর্ম। তবে চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের বিষয়টি অ্যাপটির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

টিকটক বিক্রির চুক্তিতে সাহায্য করলে চীনের ওপর শুল্ক কমানো হতে পারে বলে টোপ ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেছেন, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স তাদের মার্কিন কার্যক্রম বিক্রি করে দেবে এমন এক চুক্তিতে চীন সাহায্য করলে দেশটির ওপর শুল্ক কমাতে পারেন তিনি।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, টিকটক সংক্রান্ত বিক্রি অনুমোদনের ক্ষেত্রে চীনকে ‘ভূমিকা অবশ্যই রাখতে হবে’।

“এক্ষেত্রে আমি হয়তো তাদের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমিয়ে দেব বা টিকটক বিক্রির চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য কিছু দেব,” বলেছেন ট্রাম্প।

“টিকটক নিঃসন্দেহে বড় একটি প্লাটফর্ম। তবে চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের বিষয়টি অ্যাপটির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল ‘প্রটেকটিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশন অ্যাক্ট’ নামের একটি বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করেন।

ওই আইনে দেশটির বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরে টিকটক নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, যদি না এর মালিক কোম্পানি চীনা মালিকানাধীন বাইটড্যান্স অ্যাপটির যুক্তরাষ্ট্র অংশের ব্যবসা অন্য কোথাও বিক্রি করে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই এই আইনের প্রয়োগ স্থগিত করে জানুয়ারিতে টিকটক বিক্রির সময়সীমা ১৯ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ট্রাম্প।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি লিখেছে, এর আগে ট্রাম্প চেয়েছিলেন এক যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে টিকটকে ৫০ শতাংশ মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রে থাকুক ।

বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, টিকটক বিক্রির চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেবেন তিনি।

“আমরা এক ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছি। তবে এ সময়ের মধ্যে যদি তা শেষ করা না যায় তাহলে এটি কোনও বড় বিষয় নয়। আমরা এর মেয়াদ বাড়িয়ে দেব।”

এ মাসের শুরুতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, এপ্রিলের এ সময়সীমার মধ্যে টিকটক সম্পর্কিত চুক্তির কাজটি শেষ হবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

ভ্যান্স বলেছেন, “প্রায় নিশ্চিতভাবেই বরা যায় যে, উচ্চ পর্যায়ের একটি চুক্তি হবে এটি, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগকে সন্তুষ্ট করবে ও একটি স্বতন্ত্র আমেরিকান টিকটক এন্টারপ্রাইজও তৈরি করবে।”

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘তোমার চুপ করে শোনা উচিত’, জয়ার কথায় থেমে গেলেন শ্বেতা Jul 14, 2025
img
হানি সিং এর ট্যাটুতে ফুটে উঠল এ আর রহমানের প্রতি গুরুভক্তি Jul 14, 2025
যে আমল করলে মানসিক শান্তি পাবেন | ইসলামিক জ্ঞান Jul 14, 2025
বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ Jul 14, 2025
"ভাঙ্গা ফোন, অদম্য ইচ্ছাশক্তি! ভোলার শাহীনের মাসে আয় লাখ টাকা!" Jul 14, 2025
img
ভালুকায় মা-শিশুসহ ৩ জনকে হত্যা, পুলিশের সন্দেহের কেন্দ্রে দেবর Jul 14, 2025
img
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যায় ২ আসামি গ্রেফতার Jul 14, 2025
img
রিকশাচালকদের পাশে দাঁড়ালেন উপদেষ্টারা, বললেন ‘সালাম জানাই’ Jul 14, 2025
img
এখন পর্যন্ত ৪৭৭১৩ প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার হতে আবেদন করেছেন: এনআইডি ডিজি Jul 14, 2025
img
প্রতিনিয়ত মব চললে ছাত্রদল শান্ত থাকবে না: রাকিব Jul 14, 2025
img
আনচেলত্তিকে সম্মান জানাতে মিলানে তার ১৪ নম্বর জার্সি পরবেন মদ্রিচ! Jul 14, 2025
img
বিএনপি ছাড়িনি, জনগণ চাইলে নির্বাচন করব : মনির খান Jul 14, 2025
img
মাত্র ৩ হাজার টাকার আশায় বাংলা শিখেছিলেন অমিতাভ বচ্চন Jul 14, 2025
img
থমকে গেছে রিয়ালের সঙ্গে ভিনিসিউসের নতুন চুক্তির আলোচনা! Jul 14, 2025
img
সংসদে ১০০ নারী আসনের পক্ষে বিএনপি, তবে সংরক্ষিত : সালাহউদ্দিন Jul 14, 2025
মিডফোর্ডের ঘটনা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টাও হতে পারে: মির্জা ফখরুল Jul 14, 2025
img
মৃত্যু আগেই প্রিয়জনকে বলেছিলেন, ‘আমার জন্য মন থেকে দোয়া করো’ Jul 14, 2025
img
মধুমিতার বিয়ে ডিসেম্বরেই, গয়না-শাড়ি ঠিক হয়ে গেছে Jul 14, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হবে: আসিফ নজরুল Jul 14, 2025
'১৯৯২ থেকে ৯৩ সালে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা বঞ্চনার শিকার' Jul 14, 2025