রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে আসছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপটিকে ঘিরে চলমান উত্তেজনাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক আর্কটিক ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পুতিন ডেনিশ আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির চারপাশে চলমান উত্তেজনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ডকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুঁশিয়ারির বিষয়ে কথা বলেন।
এর আগের দিন বুধবার ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ডের প্রসঙ্গ টেনে দাবি করেন, 'পৃথিবীর একটি বৃহৎ অংশকে সঠিকভাবে রক্ষা করার জন্য' দ্বীপটির মার্কিন মালিকানা প্রয়োজন। এটি করলে ডেনমার্কসহ সর্বজনীনভাবে উপকারী হবে।
ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, আমাদের জমি থাকতে হবে, কারণ এটি ছাড়া কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, এই পৃথিবীর একটি বৃহৎ অংশকে সঠিকভাবে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের এটি (গ্রিনল্যান্ড) পেতে হবে এবং আমি মনে করি আমরা এটি পাব।
এরপর পুতিন সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। আমেরিকা দেড় শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে গ্রিনল্যান্ডকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা লালন করে আসছে।
পুতিন বলেন, সবাই জানে গ্রিনল্যান্ডকে সংযুক্ত করার মার্কিন পরিকল্পনা সম্পর্কে। আপনি জানেন, এটি কেবল প্রথম নজরে কাউকে অবাক করে দিতে পারে। এটি বিশ্বাস করা একটি গভীর ভুল যে, এটি নতুন আমেরিকান প্রশাসনের অতিরঞ্জিত কথা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, আমেরিকার গ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনা ১৮৬০ সাল থেকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু সেই সময় তারা কংগ্রেসের সমর্থন পায়নি।
পুতিন বলেন, আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ১৮৬৮ সাল নাগাদ আমেরিকান সংবাদপত্রগুলোতে আলাস্কা ক্রয়কেও উপহাস করা হচ্ছিল।
পুতিন উল্লেখ করেন, ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ডেনমার্কও একটি ভূমি-বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, যার ফলে গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার কাছে হস্তান্তরিত হত। তবে চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গিয়েছিল।
এমআর/টিএ