ভারতের বিদেশনীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আগে ভারতের নীতি ছিল, সবার থেকে সমান দূরত্ব রেখো চলো। আর এখন ভারতের নীতি হল, সবার সঙ্গে সমান কাছে চলো। দুনিয়ার দেশগুলি ভারতের মতামত, ভারতের আবিষ্কার, ভারতের পরিশ্রমকে যতটা গুরুত্ব এখন দেয়, তা আগে কখনও হয়নি। এখন দুনিয়ার নজর ভারতে। দুনিয়া জানতে চায়, ভারত আজ কী ভাবছে।”
টিভি৯ নেটওয়ার্কের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে গ্লোবাল সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে এই গ্লোবাল সামিটে ভারতের উন্নয়ন, ভবিষ্যতের লক্ষ্য তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দশ বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে আসার কথা বললেন। একইসঙ্গে করোনার সময় ভারতের ভূমিকার কথাও তুলে ধরলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ ভেবেছিল, প্রত্যেক ভারতীয়র কাছেই ভ্যাকসিন পৌঁছতে কয়েকবছর লেগে যাবে। কিন্তু, সব আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করেছে ভারত।"
গত ১০ বছরে দেশে কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রসীমার বাইরে আসার কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে। তিনি বলেন, “২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার বাইরে এসেছে। নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ভারতের বিকাশে অবদান রাখছে। এখন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় যুব প্রজন্ম ভারতে রয়েছে। ভারতের বিদেশ নীতির মন্ত্র হয়ে গিয়েছে, ভারত প্রথম।”
বিশ্ব দরবারে ভারতের গুরুত্ব কতটা বেড়েছে, তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে শুধু অংশ নেয় না। বিশ্বের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে অবদানও রাখছে। করোনার সময় দেশগুলি তা অনুভব করেছে। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ ভেবেছিল, প্রত্যেক ভারতীয়র কাছেই ভ্যাকসিন পৌঁছতে কয়েকবছর লেগে যাবে। কিন্তু, সব আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করেছে ভারত। ভারত নিজে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। সব ভারতীয়কে ভ্যাকসিন দিয়েছে। তারপর ১৫০-র বেশি দেশকে ভ্যাকসিন ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে।”
এসএম