৩০০-র বেশি বিদেশি ছাত্রছাত্রীর ভিসা বাতিল করে দিল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এই ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের আমেরিকাছাড়া করার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন তিনি। রুবিয়োর এই ঘোষণার পর আমেরিকায় বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত। অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বহু ভারতীয়ও।
আমেরিকার বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্রছাত্রীরা সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। অনেকেই ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধে প্যালেস্টাইনের পক্ষ নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের উপর সরকারের কোপ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। যাঁরা সক্রিয় ভাবে বিরোধিতা করছিলেন, এত দিন কেবল তাঁদেরই শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল।
তবে এ বার সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত সক্রিয়তা দেখেও ‘সরকারবিরোধী’দের চিহ্নিত করা হচ্ছে। রুবিয়ো বলেছেন, ‘‘যাঁরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, আমরা প্রতি দিন তাঁদের খুঁজছি।’’ সমাজমাধ্যমে ‘আমেরিকার সরকারবিরোধী’ কোনও পোস্টে লাইক বা কমেন্ট করলেও তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রাক্তন রাজার নিরাপত্তা কমাল নেপাল, উঠছে গ্রেফতারির দাবি! রাজতন্ত্র ও হিন্দুরাষ্ট্র চেয়ে ক্ষোভ বাড়ছে, কী করবে ওলির সরকারযে ছাত্রছাত্রীদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই প্যালেস্টাইনিদের অধিকারের দাবিতে মুখ খুলেছিলেন। পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজ়ায় হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন।
বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ওই হামলায়। আমেরিকায় অনেকেই ট্রাম্প সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যে বিদেশি পড়ুয়ারা তাতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী দিনে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
অন্য দেশ থেকে যাঁরা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে আমেরিকায় যান, তাঁরা এফ-১ ভিসা পেয়ে থাকেন। এটি একটি অ-অভিবাসী ভিসা। এর মাধ্যমে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমেরিকায় থেকে সেখানকার স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। সম্প্রতি সেই ধরনের ৩০০-র বেশি ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এমআর/এসএন