ঋণ মেটানোর চাপে অনেকেই নানা পন্থা অবলম্বন করেন। কেউ কেউ আবার ধার শোধ করতে অপরাধের রাস্তায় হাঁটেন। কিন্তু ব্যক্তি মেটাতে চুরির গল্প ফাঁদলেন। তবে তাতে লাভ কিছু হল না। ঋণ শোধ তো দূরের কথা আপাতত ওই ব্যক্তির ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা দিল্লির। অভিযুক্ত বুট্টা সিং উত্তম নগরের বাসিন্দা। মূলত তিনি এসি সারাইয়ের কাজ করেন। সেবক পার্ক এলাকায় একটি ছোট দোকানও রয়েছে তাঁর। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই দেনায় জর্জরিত ছিলেন বুট্টা। সংসারে হাঁড়ির হাল। তাই কীভাবে ঋণ মেটাবেন, কোনও কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেন না। হঠাৎই তাঁর মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে যায়। নিজের বাড়িতে চুরির গল্প সাজিয়ে ফেলেন তিনি।
এরপর অভিযোগ জানাতে থানায় যান বুট্টা। পুলিশকে জানান, ২১ মার্চ দুপুর ৩টে থেকে ৬টার মধ্যে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে ঢোকে। বাড়ি থেকে সোনার নেকলেস, মঙ্গলসূত্র, দু’টি সোনার আংটি, হার এবং ৪৫ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে। প্রথমে বুট্টার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। ওই মহিলা জানান, যখন বাড়িতে চুরির হয়, তখন তিনি কিছু জিনিস কিনতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী কাজের জন্য বাইরে ছিলেন আর বাচ্চারা স্কুলে ছিল। বাড়ি ফিরে তিনি দেখতে পান টাকা ও গয়না উধাও।
এরপর বুট্টার বাড়িতে তদন্তে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখতে পান জোর করে ভিতরে ঢোকার কোনও প্রমাণ নেই। এমনকী বাড়ি চাবি ছিল শুধুমাত্র বুট্টা এবং তাঁর স্ত্রীর কাছেই। এতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। বাড়ি সামনের রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, বুট্টা ছাড়া কেউই সেসময় বাড়িতে ঢোকেনি। তারপর বুট্টাকে জেরা করতেই সবটা সামনে আসে। বুট্টা নিজেই স্বীকার করে নেন এই মিথ্যা গল্প তৈরির করার কথা। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালে দোকান কেনার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন বুট্টা। পরে ঋণ নিয়ে একটি গাড়িও কিনেছিলেন। সব দিক থেকে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এফপি/টিএ