সিরাজগঞ্জ শহরে হল না থাকলেও ঈদ উপলক্ষে মিলনায়তন ভাড়া করে চালানো হচ্ছে সিনেমা; আর এতে দর্শকদের বেশ সাড়াও মিলছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
শহরের ইবি রোডের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে ঈদের দিন থেকে চলছে মেহেদি হাসান হৃদয় পরিচালিত ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান এবং ভারতের নায়িকা রিদিকা পাল অভিনীত বাংলা ছায়াছবি ‘বরবাদ’।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিলনায়তনের ভাড়া প্রতিদিন পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকা। প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত এ সিনেমার প্রতিটি টিকেটের মূল্য রাখা হচ্ছে দেড়শ টাকা করে। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা, সাড়ে ৬টা এবং রাত্রি সাড়ে ৯টায় শো চালানো হচ্ছে।
সিনেমা প্রদর্শন উপলক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগানো হয়েছে পোস্টার; করা হয়েছে মাইকিং। ১৫ থেকে ২০ দিন সিনেমাটি এখানে চালানো যাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
সিনেমা দেখতে আসা দর্শক সুমন সেখ বলেন, ছবিটা অনেক সুন্দর। সিনেমা হলবিহীন সিরাজগঞ্জে ঈদ উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজন করায় তারা অনেক খুশি।
আরেক দর্শক রুবাইয়া দাবি করেন, জেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু করা হলে দর্শকরা আনন্দ পাবেন।
সিনেমা প্রদর্শনের আয়োজক এবং ‘বরবাদ’ চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালক সাইফুল ইসলামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরের চককোবদাসপাড়ায়। তিনি চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতির সাবেক সহসভাপতি এবং জাসাসের চলচ্চিত্র বিষয়ক সম্পাদক।
সাইফুল ইসলাম বলেন, মিলনায়তনটিতে ৪০০ আসন রয়েছে। প্রতি শোতে কিছু সিট খালি থাকলেও মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।
“যেসব জায়গায় সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে, সেখানে মিলনায়তন ভাড়া নিয়ে ছবি প্রদর্শনে আইনি কোনো বাধা নেই। এজন্য মন্ত্রণালয়, সিনেমা হল মালিক, পরিচালক, প্রযোজক ও পরিচালক সমিতি এবং সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, গত বছরও একইভাবে সিনেমা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিহিংসামূলক কারণে বাধা দেওয়ায় মাত্র তিন দিন চালানোর পর সিনেমা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।”
সুস্থ বিনোদনের জন্য অস্থায়ী এই সিনেমা হলে দর্শকদের আসার আহ্বান জানান সাইফুল।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, “ঈদ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ পৌরবাসীকে সুস্থ বিনোদন উপহার দেওয়ার জন্য দৈনিক ভাড়ার ভিত্তিতে পৌর ভাসানী মিলনায়তনে সিনেমা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মিলনায়তনের সার্বিক নিরাপত্তা দেবেন আয়োজকরা।”
এভাবে সিনেমা চলতে পারে কি-না জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক বলেন, “সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন। আমরা পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য এই অনুমোদন দিয়েছি।”
এসএন