জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের বকেয়া ভাড়া নিয়ে বিরোধের ফলে সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ও জামালপুর-৫ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের ছেলে বাবু মারধরের শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর, সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করতে সেখানে উপস্থিত হন এবং হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের হুমকি দেন।
এ ঘটনা মঙ্গলবার রাতে ঘটে, এবং পরবর্তী দিন বৃহস্পতিবার রাতে এর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক পিস্তল হাতে হামলাকারীদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।
এদিকে, বাবুর মারধরের জন্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেলকে দায়ী করা হয়েছে। সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক জানান, তাঁর ছেলের কাছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ভাড়া পাওনা ছিল, এবং ভাড়া চাইতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে সাবেক উপমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন, কারণ সরকার তাঁকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে। তিনি বলেন, তার ছেলেকে মারধর করার ঘটনায় জামালপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহম্মেদ লোটন কোন প্রতিবাদ করেননি, যা তাকে হতাশ করেছে।
এ ঘটনার পর, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান এ বিষয়টি পারিবারিক সমস্যা বলে উল্লেখ করেন এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন বলেন, সাবেক উপমন্ত্রীর দাবির প্রতি সম্মান রয়েছে, তবে তাঁর ব্যবহার সঠিক ছিল না।
এসএস