সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, পরিচালক এস.এস. রাজামৌলি জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমা ‘এসএসএমবি ২৯’ হবে একটি একক ছবি। মহেশ বাবু এবং প্রিয়াঙ্কা চোপরাকে নিয়ে নির্মিত এই অ্যাডভেঞ্চারধর্মী সিনেমাটি ‘বাহুবলী’-র মতো দুটি পর্বে ভাগ হবে না। গল্প শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটিমাত্র চলচ্চিত্রেই সম্পূর্ণ হবে বলে জানালেন নির্মাতা নিজেই।
সিনেমার পটভূমি গড়ে উঠছে আফ্রিকাকে ঘিরে। ইতিমধ্যেই দুটি শিডিউলের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে— একটি হায়দরাবাদে, অন্যটি ওডিশার কোরাপুট অঞ্চলে। এই ছবিতে মহেশ বাবু প্রথমবারের মতো এমন মাপের একটি আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর চরিত্র একটি বৈশ্বিক যাত্রায় বেরোবে, যেখানে থাকবে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্যপট, চ্যালেঞ্জ, এবং আবেগময় মুহূর্ত।
এস.এস. রাজামৌলির দৃষ্টিভঙ্গি বরাবরের মতোই চমকপ্রদ, এবং তাঁর ভিজ্যুয়াল গল্প বলার ক্ষমতা দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে কেন তিনি এবার একটি একক ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন? সূত্রের খবর, নির্মাতা চেয়েছেন একটিমাত্র সিনেমাতেই একটি শক্তিশালী ও টাইট গল্প বলার অভিজ্ঞতা দিতে। কারণ, ছবিটি ভিএফএক্স-নির্ভর হওয়ায় প্রোডাকশন ও পোস্ট-প্রোডাকশন সময় সীমিত রাখা জরুরি ছিল। একাধিক পর্বে গল্প টানলে সময় ও বাজেট দুই-ই বেড়ে যেত।
কোরাপুট অঞ্চলে শুটিং শেষ করে রাজামৌলি একটি হাতে লেখা চিঠির মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি। আতিথেয়তার জন্য কোরাপুটবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, কিভাবে এই শুটিং অভিজ্ঞতা তাঁর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। এর প্রতিদানে স্থানীয় বিধায়ক তাঁকে উপহার দেন কোরাপুটের ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি মিলেট পণ্য, যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রতীক।
যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবুও নির্মাতার বক্তব্য এবং গল্পের কাঠামো দেখে পরিষ্কার যে, ‘এসএসএমবি ২৯’ একটি পূর্ণাঙ্গ একক সিনেমা হিসেবেই আসছে। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই গল্পের বিস্তার ঘটিয়ে একটি সিক্যুয়েল তৈরি হতে পারে। তবে আপাতত রাজামৌলি চান এক ছবির মধ্যেই শুরু, উত্তেজনা ও পরিণতি—সবকিছুই সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে।
মহেশ বাবু, প্রিয়াঙ্কা চোপরা ও রাজামৌলির এই নতুন যাত্রা নিঃসন্দেহে ভারতীয় সিনেমার জন্য একটি বড় মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে। বিশ্বমানের গল্প ও নির্মাণশৈলীর সমন্বয়ে, ‘SSMB29’ হতে চলেছে এমন এক চলচ্চিত্র, যা একটিমাত্র ছবিতেই তৈরি করতে পারে ইতিহাস।
এসএম/টিএ