ইয়েমেনের হুদায়দা বন্দর নগরীতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইয়েমেনি বাহিনী। গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে বাহিনীটি এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভি এবং নৌবাহিনীর মাধ্যমে উত্তর লোহিত সাগরে বেশ কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে তারা। এর মধ্যে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানও রয়েছে। এসব রণতরীকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হয়েছে ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন হামলা।
কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই অভিযান যুক্তরাষ্ট্রকে ইয়েমেনে আরও আক্রমণাত্মক হামলা শুরু করা থেকে বিরত রেখেছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইয়েমেন সরকার ও জাতির অবিচল সমর্থন অব্যাহত থাকবে। যতক্ষণ না গাজায় আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়, ততক্ষণ ইয়েমেনি বাহিনী প্রতিশোধমূলক অভিযান অব্যাহত রাখবে’।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের পশ্চিমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বিমান হামলা শুরুর কারণে ইয়েমেনি বাহিনী মার্কিন রণতরীর সঙ্গে এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
ইয়েমেনের সাবা নিউজ এজেন্সির বরাতে ইরনা জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী হুদায়দার কামারান দ্বীপে পাঁচটি বিমান হামলা চালিয়েছে। আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, একটি গোপন নৌ-অভিযানের পরিকল্পনার জন্য ইয়েমেনি কমান্ডারদের বৈঠক লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালিয়েছে।
তবে একটি সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা সাবা জানিয়েছে, ট্রাম্প যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেটি ছিল ঈদুল ফিতরের এক সাধারণ জনসমাবেশ। যেটি হুদায়দা প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে কোনো সামরিক বাহিনীর সংযোগ ছিল না।
আরএ