চার বছর পেরিয়ে গেছে দিয়েগো ম্যারাডোনার পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার। তবে তার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস আজও বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে—বিশেষত যখন বিশ্ব আবারও তাকিয়ে আছে গাজার দিকে, যেখানে প্রতিদিন রক্ত ঝরছে নিরীহ মানুষের।
ফুটবলের কিংবদন্তি হয়েও ম্যারাডোনা ছিলেন এক জনসচেতন মানুষ। শুধুই মাঠের জাদুকর নন, ছিলেন নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। ফিলিস্তিনের প্রতি তার অকুণ্ঠ ভালোবাসা, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার সাহসী অবস্থান আজ আরও বেশি করে অনুভূত হচ্ছে—কারণ তার মতো উচ্চারিত প্রতিবাদ এখন অনেকটাই বিরল।
গাজায় যখন বোমার শব্দে প্রতিদিন কেঁপে উঠছে আকাশ, তখন অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে সেই মানুষটির কথা, যিনি গর্ব করে বলতেন, “আমার হৃদয়ে, আমি প্যালেস্টাইন।” যিনি বলেছিলেন, “ইসরায়েল যা করছে, তা লজ্জাজনক।”
ম্যারাডোনার সেই সাহসিকতা, সেই দায়বদ্ধতা আজও জীবিত, তারই নামধারী একটি জার্সি কিংবা পতাকা হাতে যখন কোনো ফিলিস্তিনি দাঁড়িয়ে যান রাস্তায়, সেটি শুধুই এক কিংবদন্তিকে স্মরণ নয়—তা এক প্রতীক, প্রতিরোধের।
আর সেই প্রতিরোধের ভেতর দিয়েই হয়তো চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন দিয়েগো ম্যারাডোনা—ফুটবলের ঈশ্বর নয়, বরং নিপীড়িত মানুষের বন্ধু।
এসএস/এসএন