খুলল দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু

খুলে দেয়া হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেই কারণে আগেই খুলে দেয়া হলো এই সেতু দুটি।

এই দুটি সেতুর পাশাপাশি জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে আরও কয়েকটি সড়ক অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা বলেন, এ অবকাঠামো বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।

দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর পাশাপাশি উদ্বোধন হয়েছে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কড্ডা-১ সেতু ও বাইমাইল সেতু।

‘যে সেতুগুলো আজকে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, আমরা মনে করি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রটা আমরা তৈরি করেছি। সেখানেও একটা বিরাট অবদান রাখবে’- প্রধানমন্ত্রী বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ বর্তমান বিশ্বটা একটা গ্লোবাল ভিলেজ। সকলের সাথে মিলেই চলতে হবে আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে হলে। সেই ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, এই কাজগুলো শুধু আমাদের জন্য না, আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্যও একটা বিরাট অবদান থাকবে।’

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে শীতলক্ষ্যা সেতু (দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু), দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। জাপানের জাইকার সহযোগিতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তদের অধীনে বাস্তবায়ন হওয়া এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে জাইকা দিয়েছে ৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন হলো শনিবার।  গত ১৬ মার্চ দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু (দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

৯৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনবিশিষ্ট দ্বিতীয় মেঘনা সেতুতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। আর ১০১০ মিটার দৈর্ঘ্যের চার লেইনবিশিষ্ট দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতুতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি প্রমূখ।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
মূল লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে না মস্কো, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার Jul 04, 2025
img
ঋতুপর্ণা হলেন বাংলাদেশের মেসি, বললেন বাফুফে কর্মকর্তা Jul 04, 2025
img
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে : গভর্নর Jul 04, 2025
img
ইতিহাসে প্রথমবার, ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ হবে মক্কায় জুমার খুতবা Jul 04, 2025
img
ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 04, 2025
img
মাল্টা ও লিবিয়া উপকূলে অভিযান, উদ্ধার ১১৭ অভিবাসী Jul 04, 2025
img
বনানীর জাকারিয়া হোটেল হামলা: অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেফতারে চলছে পুলিশের অভিযান Jul 04, 2025
img
পিআর চায় অযোগ্যরা, ব্যালট চায় জনগণ : আমিনুল হক Jul 04, 2025
img
ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের Jul 04, 2025
img
বিয়ের আগের দিন ক্যাম্পাসে এসে আটক জবি ছাত্রলীগ নেতা Jul 04, 2025
img
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব ও মাশরাফির মতো আমারও ভুল হয়েছে’ Jul 04, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান ক্লাসেনের Jul 03, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করায় একই কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Jul 03, 2025
img
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পঞ্চাশ বছরেও কোনো সরকার বন্ধ করতে পারে নাই : নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
পনেরো বছর পর গানে ফিরলেন শঙ্কর চক্রবর্তী Jul 03, 2025
img
‘বর্ডার ২’ করলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দিলজিতের Jul 03, 2025
স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক;শ্রীঘরে মানবাধিকার কর্মী Jul 03, 2025
বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে যে জটিলতার কথা জানালেন তারেক Jul 03, 2025