ভুটানে নারী লিগে খেলতে গেলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্না চাকমা এবং মাতসুসিমা সুমাইয়া। গতকাল ভুটানে পৌঁছে গেছেন। এই চার ফুটবলার খেলবেন পারো এফসিতে। গতকাল ভুটানে পৌঁছার পর তাদরেকে অভ্যর্থনা জানায় ক্লাবটির কর্মকর্তারা।
ভুটানের আরও একটি ক্লাব ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলার কথা রয়েছে জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক রূপনা চাকমা এবং মাসুরা পারভিনের। একই দলের যাওয়ার কথা ছিল সাগরিকার। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতায় তার যাওয়া হচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে কৃষ্ণা রানী সরকার যেতে পারেন ভুটানে। এছাড়াও সানজিদা আক্তার, সিনিয়র শামসুন নাহারও ভুটানের লিগে ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে খেলতে পারেন।
এই সব ফুটবলার ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তারা এই কোচের অধীনে খেলবে না। তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে বিদ্রোহ করে তারা আর জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেয়নি। সামনে এশিয়ান কাপের বাছাই রয়েছে। সেখানে এই ফুটবলাররা খেলবেন কি না, তাও নিশ্চিত না।
আজ জাতীয় নারী দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যারা ভুটানে খেলতে যাচ্ছেন তারা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিরবেন কি না, নিশ্চিত না। যদিও বাফুফের দাবি সাবিনারা চলে আসবেন। তবে কোনো ফুটবলার নিজেদের মুখ থেকে প্রকাশ করেননি ক্যাম্প ডাকা হলে তারা ফিরে আসবেন। তবে পরশু বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল ভুটানে যাওয়া ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন।
সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে বিদায় দিয়েছেন। তিনিও আশা রাখছেন, মেয়েরা সবকিছু ভুলে গিয়ে খেলায় ফিরবেন। আর মেয়েদের একটি সূত্রের দাবি তারা বিদেশে খেলে যাবেন। দেশে না খেললেও খুব একটা ক্ষতি নেই।
এমআর/টিএ