সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডের চক্রতার বাসিন্দা মহম্মদ সাবিরের সম্প্রতি বিয়ে ঠিক হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর নিবাসী এক কন্যার সঙ্গে। শনিবার বিয়ের আসর বসেছিল।
‘চুরি’ যাওয়া জুতো ফেরত চাইলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। পাত্রীপক্ষের ‘আবদারে’ রাজি হননি পাত্র। তার বদলে দিয়েছিলেন পাঁচ হাজার। আর তা পেয়ে অখুশি পাত্রীপক্ষ পিটিয়েই দিল পাত্রকে! লাঠিপেটা করা হল বরযাত্রীদেরও। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। বিষয়টি আলোড়ন তুলেছে সমাজমাধ্যমেও।
মাথায় অসম্ভব ব্যথা, সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে পিলে চমকাল যুবকের! চমকালেন চিকিৎসকও, কী হয়েছিল?
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডের চক্রতার বাসিন্দা মহম্মদ সাবিরের সম্প্রতি বিয়ে ঠিক হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর নিবাসী এক কন্যার সঙ্গে। শনিবার বিয়ের আসর বসেছিল। কম সংখ্যক বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে এসেছিলেন সাবির। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন কনের বৌদি সাবিরের জুতো ‘চুরি’ করেন এবং তা ফেরত দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকার দাবি করেন। তাতে রাজি হননি সাবির। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাঁচ হাজারের বেশি তিনি দেবেন না। আশা পূরণ না হওয়ায় রেগে গিয়ে সাবিরকে ‘ভিখারি’ বলে ডাকেন পাত্রীর বৌদি। এর জেরে পাত্র এবং পাত্রী— দু’পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। রীতিমতো ঝগড়াঝাটি শুরু করেন দুই পরিবারের সদস্যেরা।
সাবিরের পরিবারের অভিযোগ, টাকা না পেয়ে জোর করে তাঁদের একটি ঘরে আটকে রেখেছিল পাত্রীর পরিবার। লাঠিপেটাও করা হয় তাঁদের। বরকেও মারধর করা হয়। অন্য দিকে কনের পরিবারের দাবি, সাবিরের পরিবারের সদস্যেরা কনের গায়ে থাকা সোনার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর তা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। পরে হাতাহাতিও হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিজনৌরের নাজিবাবাদ থানার পুলিশ। দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন তাঁরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি রফা হয় বলে খবর। নাজিবাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘বিয়েবাড়িতে জুতোচুরি রীতি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। দু’পক্ষই অভিযোগ জানাতে থানায় এসেছিল। এখন দুই পরিবারের মধ্যে মিটমাট হয়েছে।’’
এফপি/টিএ