চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় সীমানা বিরোধ নিরসনের প্রচেষ্টার মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ফেসবুকে সন্দ্বীপ সংলগ্ন হাতিয়ার ভাসানচরের মালিকানা নিয়ে মাসউদ পোস্টটি করেন। পোস্টে তিনি ভাসানচরকে হাতিয়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এর ব্যতিক্রম রুখতে হাতিয়াবাসীকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের আহ্বান জানান। তার এই পোস্ট ঘিরে সন্দ্বীপের ছাত্র, তরুণসহ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
মাসউদের পোস্ট শেয়ার করে কেউ কেউ তাকে সন্দ্বীপের ইতিহাস পাঠের আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ কেউ তাকে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদাঙ্ক অনুসরণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বেলা ১টার দিকে মাসউদ তার ফেসবুকে লেখেন, ‘ভাসানচর হাতিয়ার ছিল, হাতিয়ারই থাকবে। দরকার শুধু ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ।’
ওই পোস্টে মন্তব্যের ঘরে অনেকে সন্দ্বীপের পুরোনো মানচিত্র জুড়ে দিয়ে মাসউদকে ভালোভাবে তা দেখে নিতে বলেছেন। একজন লেখেন ‘এটা সবার বাংলাদেশ, ভিটেমাটির অধিকার হরণের দিন শেষ।’
উল্লেখ্য, সন্দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলের কাছাকাছি ২০১০ সালে নতুন ভূমি জেগে ওঠে। ২০১৭ সালের দিকে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আলোচনার মধ্যেই সেটির নামকরণ হয় ভাসানচর। একই বছর দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে সেটিকে নোয়াখালীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সেখানে ‘ভাসানচর থানা’ গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই প্রজ্ঞাপনেও ভাসানচরকে হাতিয়া ও নোয়াখালীর অংশ বলে উল্লেখ করা হলে সন্দ্বীপের ছাত্র, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তখন বিক্ষোভ করেন।
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে একতরফাভাবে ভাসানচরকে নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল বলে মনে করেন সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারণের পদ্ধতিগত নীতি অনুসরণ করা হয়নি বলেও সে সময় সন্দ্বীপের লোকজন দাবি তুলেছিলেন।
এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদের বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এমআর/টিএ