বিশ্বসুন্দরী তকমা পাওয়ার পর থেকেই বলিউডের চৌহদ্দিতে এক কানাঘুষোর জন্ম নিয়েছিল—"ঐশ্বরিয়ার মাটিতে কি আর পা পড়ে?" কেউ কেউ বলতেন, তিনি নাকি অহংকারে ফুঁসছেন, সাধারণ মানুষ কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে ঠিকভাবে মিশতেই চান না। এমনকি তার সঙ্গে কাজ করার আগে অনেক কলাকুশলীও নাকি খানিকটা ঘাবড়েই যেতেন।
কিন্তু বাস্তবটা ঠিক কেমন? সেই প্রশ্নের জবাব মিলেছে ১৯৯৯ সালের সুপারহিট ছবি ‘তাল’-এর সহ-অভিনেতা জিভিধ শর্মার কথায়।
ছবির শ্যুটিংয়ের আগে জিভিধের ধারণা ছিল, ঐশ্বরিয়া একজন আত্মকেন্দ্রিক, দূরত্ব বজায় রাখা তারকা। কিন্তু কাজের পরিবেশে তাকে কাছে পেয়ে বদলে যায় তার সেই ভুল ধারনা।
জিভিধ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি ভাবতাম ও অহংকারী। কিন্তু কাজের পরে বুঝলাম, ঐশ্বরিয়া আসলে ভীষণ সাধারণ, ভদ্র এবং অসাধারণ পরিশ্রমী একজন মানুষ।”
তিনি আরও জানান, “আমরা সাধারণত কাজ নিয়েই কথা বলতাম। ব্যক্তিগত কিছু না, কিন্তু ও মাঝে মাঝে আমার মায়ের খবরও নিত।”
এই ছোট ছোট কথাতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যে মানুষটিকে বহির্জগৎ একসময় অহংকারী বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তিনি আসলে অন্তরমুখী, সৎ, এবং আন্তরিক এক পেশাদার শিল্পী।
পর্দায় যতটা গ্ল্যামারাস, বাস্তবে ঐশ্বরিয়া ততটাই প্রফেশনাল, সংযত এবং দায়িত্বশীল। স্ক্রিপ্ট নিয়ে তার সিরিয়াস আলোচনা, সহ-অভিনেতাদের প্রতি আন্তরিক ব্যবহার এবং শুটিংয়ের সময়কার নিষ্ঠা—সবকিছুই প্রমাণ করে যে, বহু প্রচলিত গুজব ছিল নিছক কল্পনা।
এসএম