দীর্ঘ ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটালেন ওপার বাংলার অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথা চক্রবর্তী।
সোমবার (৭ এপ্রিল) একান্তে ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিনেতা নিজেই নিশ্চিত করেন বিচ্ছেদের খবর। জানান, কিছুদিন আগেই তারা আইনি বিচ্ছেদে সম্মত হয়েছেন। তবে দুই সন্তানের কথা ভেবেই ভবিষ্যতে এক ছাদের নিচে বসবাস করার সিদ্ধান্ত তাদের।
এই মুহূর্তে সুদীপ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’-তে অভিনয় করছেন। দর্শকপ্রিয় ‘স্বতন্ত্র’ চরিত্রে অভিনয়ের ফাঁকেই তিনি বলেন, “অনেক চেষ্টা করেছিলাম, বিষয়টি যাতে এখনই প্রকাশ না পায়। পৃথা জানিয়ে দিল। ও যে আমাকে না জানিয়ে এভাবে বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আনবে, ভাবিনি।”
সুদীপের এটি দ্বিতীয় বিচ্ছেদ। তার প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দামিণী বেণী বসু। পৃথার জীবনে এটি ছিল প্রথম বিয়ে। বয়সের ব্যবধান ছিল ২৫ বছর, কিন্তু ভালবাসায় তা কোনও দিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই তাদের প্রথম আলাপ, সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল প্রেম।
তবে গাঢ় ভালোবাসা কেন এমন পরিণতি পেল? প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস চাপিয়ে সুদীপ বলেন, “পৃথা আমার দুই সন্তানের মা। ওর বিরুদ্ধে কোনও কটূ কথা বলব না। এমনিতেই সমাজমাধ্যমে ওর নামে অনেক কিছু বলা হচ্ছে।”
জানা গেছে, বিচ্ছেদের ধাক্কা সামলাতে মা-বাবার কাছে চলে গিয়েছেন পৃথা। আপাতত দুই সন্তানকেও নিয়ে সেখানেই আছেন তিনি।
যদিও সুদীপ-পৃথা জানিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতেও এক ছাদের নিচে থাকতে চান সন্তানদের জন্য, কিন্তু সমাজমাধ্যমে পৃথার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন—এ কি কেবল বিবাহবিচ্ছেদ, না কি মানসিক সংঘাতেরও বহিঃপ্রকাশ?
সুদীপ বলেন, “আগামীর কথা এখনই কে বলতে পারে?” একটু থেমে আরও যোগ করেন, “আমি আগেও পোস্ট করেছিলাম যা দেখে সকলে অনেক কিছু বুঝে ফেলেছিলেন। এবার হয়তো পৃথার পালা।”
সবমিলিয়ে, দু'জনের ব্যক্তিগত জীবন এখন নেটদুনিয়ার আলোচনার কেন্দ্রে। বিচ্ছেদ হলেও সম্পর্কের শেষ রেশ এখনও যেন রয়ে গিয়েছে, যার ভবিষ্যৎ সময়ই বলবে।
এসএম