আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তার মা সামসুন নাহার তাসলিম। তিনি দাবি করেছেন, তুরিন তাকে উত্তরার পারিবারিক বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন এবং জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অপপ্রচার চালিয়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সুপ্রিমকোর্টের এনেক্স ভবনের রিপোর্টার্স রুমের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সামসুন নাহার বলেন, “তুরিন আমাকে জামায়াতের রুকন বলে অপপ্রচার চালিয়েছে, যদিও আমার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। এ অপপ্রচারের মাধ্যমে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে নিজের বাসা থেকে বের করে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ দিন পর তুরিন আমাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করে। আমি তার কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই এ শাস্তি পেতে হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকা আমি তুলতাম, কিন্তু ওর বাবা মারা যাওয়ার পর তুরিন জোর করে সেই টাকা নিতে শুরু করে।”
সামসুন নাহার অভিযোগ করেন, “রাত-বিরাতে অপরিচিত লোকজন বাসায় আনা, দারোয়ান ও ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ, এসব বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করতাম বলেই তুরিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সে ডিজিএফআই, র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম করে আমাকে ভয় দেখাত। বলত, ‘তারা সবাই আমার বন্ধু’, আর কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় মামলা দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দিত।”
তিনি বর্তমান সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন নতুন সরকার এসেছে। আমি চাই, ড. ইউনূসের সরকার আমার বাসা ফেরত দিক। এই বয়সে আমি আর বিদেশে পড়ে থাকতে চাই না। আমার জন্মস্থান বাংলাদেশ, এখানেই আমি শেষ দিনগুলো কাটাতে চাই।”
এই অভিযোগের বিষয়ে এখনো তুরিন আফরোজের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে।
এসএস/টিএ