পারমাণবিক আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছে ইরান। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তারই সত্যতা নিশ্চিত হলো।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, শনিবার দুই দেশের মধ্যে ‘পরোক্ষ’ আলোচনা হবে।

তবে এরপর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদ মাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করবেন আরাঘচি, যার মধ্যস্থতা করছে ওমান।

এর আগে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প; অন্যথায় হামলার হুমকিও দেন তিনি। তখন অবশ্য ওয়াশিংটনের ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা দেয় তেহরান।

হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছি, এবং তা শুরুও হয়েছে। শনিবার আমাদের আরও একটি বৈঠক আছে; দেখা যাক কী হয়।”

বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি একটি চুক্তিতেই যাওয়াই সবাই ভালো মনে করবে।”

ইরানের পরমাণু অস্ত্র থেকে সরিয়ে আনার কূটনৈতিক চেষ্টার ব্যর্থতা ‘বিপজ্জনক’ হবে বলে সতর্ক করে দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তেহরানের পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারবে না।”

এ মাসের শুরুর দিকেও এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প বলেন, “তারা (ইরান) চুক্তি না করলে বোমা হামলা করা হবে। এমন হামলা হবে যা তারা আগে কখনোই দেখেনি।”

এদিকে মঙ্গলবার ইরানি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনায় ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকবেন। ওমান বহু আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে আসছে।

২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম কমানো বিষয়ক চুক্তিতেও ওমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ২০১৮ সালে ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান।

পরমাণু বিষয়ে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার আলোচনার মধ্যস্থতাকারী চীনও আলোচনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘নিষ্ঠা’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “তারা এক তরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিরি জন্ম দিয়েছে, তাই যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং রাজনৈতিক নিষ্ঠা প্রদর্শন করা উচিত হবে।”

ইরান বরাবরই বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরমাণু পরীক্ষার দাবি করে এলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা একে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিলাষ হিসেবেই দেখে আসছে।

এসএম

Share this news on: