১২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান! আবারও অলিম্পিকের মঞ্চে ফিরছে ক্রিকেট। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে গড়াবে ব্যাট-বলের যুদ্ধ। মাত্র ৬টি দল পাবে খেলার সুযোগ। তবে বাংলাদেশ কি জায়গা করে নিতে পারবে? সম্ভাবনার হিসাব-নিকাশে কতোটুকু এগিয়ে বাংলাদেশ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকে শেষবার ক্রিকেট দেখা গিয়েছিল ১৯০০ সালে। এরপর কেটে গেছে এক শতাব্দীরও বেশি সময়, কিন্তু ক্রিকেট আর ফিরেনি এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়। এবার সব গুজবের অবসান ঘটিয়ে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট, তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
পুরুষ ও নারীদের বিভাগে খেলবে মাত্র ৬টি করে দেশ। প্রতিটি দলে থাকবে ১৫ জন ক্রিকেটার। আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি খেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি পাঁচ দলের জায়গা নির্ধারণ হবে যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ্যতা অর্জনের নিয়ম ঘোষণা করেনি আইসিসি, তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, টি-টোয়েন্টির দলগত র্যা ঙ্কিং-ই হতে পারে মূল মানদণ্ড। বর্তমানে শীর্ষ ছয় দলে আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সপ্তম স্থানে পাকিস্তান, আর বাংলাদেশের অবস্থান নবম।
ফলে বাংলাদেশের সামনে অলিম্পিকের দরজা খুলতে হলে টি-টোয়েন্টি র্যা ঙ্কিংয়ে অন্তত শীর্ষ ছয়ের মধ্যে ঢোকা বাধ্যতামূলক। অথবা অন্য কোনো বাছাইপর্বের মাধ্যমে জায়গা করে নিতে হবে অলিম্পিক স্কোয়াডে।
বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা ও সাম্প্রতিক ফর্ম, সব মিলিয়ে এখনও আশার আলো দেখছে টাইগার ভক্তরা। তবে অলিম্পিকের আসরে জায়গা পেতে হলে প্রয়োজন আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং স্থিতিশীলতা।
এসএন