জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমবে, মূল্যস্ফীতি পৌঁছাবে ১০.২ শতাংশে : এডিবি

চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমবে বলে আভাস দিয়েছে এডিবি। সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানায় তারা। সংস্থাটি বলেছে, এ বছর মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ১০.২ শতাংশ, যা ২০২৬ সালে কমে ৮ শতাংশে নামতে পারে।

অন্যদিকে এনবিআরকে আগামী জুনের মধ্যে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় ৭.৯ শতাংশের লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপি, যদিও কাগজে কলমে এর পরিমাণ ২০ শতাংশ।

আমদানি ও বিদেশি ঋণের দায় পরিশোধ এবং রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন পায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে যার তিন কিস্তিতে পাওয়া গেছে ২৩১ কোটি ডলার। বাকি ২৩৯ কোটি ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি আগামী জুন মাসে পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এজন্য বেশকিছু শর্ত মানতে হবে। এর আগে তিন কিস্তি পর্যন্ত বেশিরভাগ শর্ত পূরণ হলেও বাকি থাকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা।

পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন ও লুটপাটের কারণে বাজেটের বড় ঘাটতি পূরণ করা হতো দেশি-বিদেশি বিদেশি ঋণের মাধ্যমে। যেখানে বছর বছর বাজেট ও জিডিপির আকার বাড়লেও এর তুলনায় অনেকটাই কম রয়েছে রাজস্ব আদায়। সবশেষ এ হার দাঁড়িয়েছে ৭.৪ শতাংশ। এতে প্রতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় কম হয় লাখ কোটি টাকার বেশি।

তাই এবার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পেতে আগামী জুনের মধ্যে জিডিপির তুলনায় ৭.৯ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে।

এদিকে চলতি অর্থবছর শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। আগামী অর্থবছরে যা বেড়ে হতে পারে ৫.১ শতাংশ। আর ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হতে পারে ১০.২ শতাংশ। যা ২০২৬ সালে ৮ শতাংশের ঘরে নামবে বলে আউটলুকে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।

পাল্টা শুল্কারোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা স্বল্প মেয়াদে সমাধান হতে পারে। তবে দেশের রপ্তানিতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের দিকে বাংলাদেশকে এগোতে হবে বলে মনে করে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং।
অপরদিকে ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিপুল অর্থপাচারই এর কারণ।
টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা আবেদনে চীনের নতুন নিয়ম Sep 14, 2025
img
ইউরোপীয় ৩ দেশকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি Sep 14, 2025
img
রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৯৬ মামলা Sep 14, 2025
img
লালনের গানে বিপ্লব এনেছিলেন ফরিদা পারভীন Sep 14, 2025
img
সাদাপাথর লুটকাণ্ডে গ্রেপ্তার সাহাব উদ্দিন কারাগারে Sep 14, 2025
img
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাবর, আলোচনায় তারেক রহমানের নিরাপত্তা Sep 14, 2025
img
প্রকৌশল খাতে লেনদেন শীর্ষে, জীবনবিমায় পতন Sep 14, 2025
img
গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক শক্তির উত্থান ঘটছে : রিজভী Sep 14, 2025
img
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ড্রেসিংরুমে উত্তাপ! Sep 14, 2025
img
ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে মস্কোর বার্তা Sep 14, 2025
img
তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন : বাবর Sep 14, 2025
img
নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ Sep 14, 2025
img
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে সহযোগিতা করবেন এনবিআর চেয়ারম্যান Sep 14, 2025
img
রাজস্ব আয়ে রেকর্ড শাহ আমানত বিমানবন্দরে Sep 14, 2025
img
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
'লোকাহ' চ্যাপ্টার ১ -এ চন্দ্রা-র সাফল্যের কারণে কান্তা মুক্তির তারিখ পিছিয়ে Sep 14, 2025
img
অভিনয় ছেড়ে এবার প্রযোজনায় স্বীকৃতি মজুমদার Sep 14, 2025
img

যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারলে শুল্কহ্রাসের আরো সম্ভাবনা রয়েছে Sep 14, 2025
img
কোহলি না থাকায় স্বস্তিতে পাকিস্তানের বোলাররা: গাভাস্কার Sep 14, 2025
img
স্বরা-ফাহাদের প্রেমে কিউপিড হয়ে এল এক বিড়ালছানা Sep 14, 2025