নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চেয়ে ডিসির চিঠি

নোয়াখালী জেলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এই দাবি জানান তিনি।

চিঠিতে নোয়াখালী জেলায় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদের সই করা চিঠিতে বলা হয়, নোয়াখালী এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নিয়মিতভাবে বিদেশে যাতায়াত করে থাকেন। নোয়াখালী জেলায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য স্থানীয় জনগণ বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে জোর দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া পর্যটন সম্ভাবনাময় নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে বিদেশি পর্যটক আসতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক পর্যটক এখানে আসতে পারছেন না।

এতে আরও বলা হয়, বিমানবন্দর না থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন শিল্প, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। মিয়ানমারের প্রায় ৩৮ হাজার নাগরিককে ভাসানচরে স্থানান্তর করায় ভিভিআইপি, বিভিন্ন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিদেশি দাতা সংস্থার প্রধানরা প্রায় নোয়াখালীতে আসেন। ফলে বিমানে যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও তুলনামূলকভাবে উন্নত, ফলে তাদের বিমানে যাতায়াতের সক্ষমতা বিদ্যমান।

বর্তমানে নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব শুল্লকিয়া মৌজায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নোয়াখালী কর্তৃক নির্মিত অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি রানওয়ে আছে উল্লেখ করে বলা হয়, বিদ্যমান রানওয়েটি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রূপান্তর করা সম্ভব।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নোয়াখালীতে বিমানবন্দর স্থাপনের যৌক্তিকতা উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব বরাবর চিঠি প্রেরণ করেছি। বিষয়টি নোয়াখালীবাসীর প্রাণের দাবি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে বহুমাত্রিক উপকার আসবে। আশাকরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো বিবেচনা করবে।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান Jul 05, 2025
img
'বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না' Jul 05, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই নতুন সংবিধানে যুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
৩৬ জুলাইয়ে শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম : আসিফ মাহমুদ Jul 05, 2025
img
ইসরায়েলকে সশস্ত্র বাহিনী বড় ধরনের শিক্ষা দিয়েছে: পেজেশকিয়ান Jul 05, 2025
img
গোলাম মাওলা রনি অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব Jul 05, 2025
img
৮ বছর পর বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের ভুল স্বীকার অভিনেত্রী মিথিলার Jul 05, 2025
img
টানা ব্যর্থতার পর ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে সব আশা অভিনেত্রী সারার! Jul 05, 2025
img
ধোনি-সাক্ষীর বিবাহবার্ষিকী: পথচলার ১৫ বছর পূর্ণ! Jul 05, 2025
img
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের কাছে বারবার হোঁচট ভারতের Jul 05, 2025
img
জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারাটা আমার জন্য আফসোস: আসিফ মাহমুদ Jul 05, 2025
img
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক তিনজন দেশে ফিরেছেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে : আসিফ নজরুল Jul 05, 2025
img
সকালের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 05, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
এনসিপির কর্মসূচি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে একটি নতুন রাজনীতির সূচনা: প্রেস সচিব Jul 05, 2025
img
সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করলে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করা হবে: আখতার Jul 05, 2025
img
এজবাস্টনে বড় লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করল ভারত, চাপে ইংল্যান্ড Jul 05, 2025
img
৬ ঘণ্টা পর খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Jul 05, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর Jul 05, 2025
img
হাসারাঙ্গাকে সামলানোর নতুন কৌশল খুঁজে পেল বাংলাদেশ! Jul 05, 2025