সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পাওয়া বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে—যেসব পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে “ইহুদিবিরোধী” বা হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি বিদ্রোহীদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি সমর্থনসূচক, তা ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে।
এই নতুন নীতিমালা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে এবং এটি স্টুডেন্ট ভিসা থেকে শুরু করে গ্রিন কার্ডের আবেদন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ইউএসসিআইএস এর ভাষায়, “যে কোনো বিদেশি নাগরিকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এমন কনটেন্ট—যা সন্ত্রাসবাদ, ইহুদিবিরোধী কার্যকলাপ বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন হিসেবে বিবেচিত—তা আবেদন যাচাইয়ের সময় নেতিবাচক বিষয় হিসেবে ধরা হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, “আমেরিকায় বিশ্বের অন্য প্রান্তের সন্ত্রাসী সমর্থকদের কোনো জায়গা নেই। আমরা বাধ্য নই তাদের গ্রহণ করতে বা এখানে রাখতেও না।”
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অন্তত ৩০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাঁর মতে, আমেরিকান নাগরিক না হলে সেই ব্যক্তিরা আদালতের নয়, বরং পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবেচনার অধীন—ভিসা দেওয়া বা বাতিল করা সম্পূর্ণভাবে তাঁর এখতিয়ারভুক্ত।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষত যারা ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন।
যারা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি চাইছেন, তাদের এখন থেকে অনলাইন পোস্টের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো পোস্ট, যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালার চোখে উসকানিমূলক বা বিদ্বেষমূলক হিসেবে ধরা পড়বে, তা হতে পারে ভিসা বাতিলের কারণ।
এসএম/টিএ