ধলেশ্বরী নদীকে বাঁচিয়ে চামড়ার বিশ্ববাজার ধরতে সাভারের শিল্পনগরীতে নতুন আরেকটি কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করবে সরকার। শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণের কাজ পেতে পারে ইতালি। এছাড়া বর্তমানে চালু থাকা বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি সচল হচ্ছে আগামী অর্থবছরেই।
সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত উপযোগী করতে শিল্পনগরীতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ২০ হাজার কিউবিক মিটার তরল বর্জ্য। কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয় গড়ে ১২০ টন, যা কোরবানিতে বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
শিল্পনগরীর বর্জ্য শোধনে প্রয়োজন সাড়ে ৩ হাজার এমসিইউ সক্ষমতার শোধনাগার। অথচ চীনা প্রতিষ্ঠান নির্মিত সিইটিপির সক্ষমতা সবোর্চ্চ এক হাজার ৮০০ এমসিইউ। ফলে অপরিশোধিত বর্জ্যের বড় অংশই পড়ছে ধলেশ্বরী নদীতে। মিলছে না চামড়া রফতানির ক্ষেত্রে এলডব্লিউজি সনদ। দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীও।
শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, চামড়া শিল্পনগরীর ত্রুটি-দুর্বলতা খুঁজে বের করতে জরিপ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন আরেকটি বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুল রহমান বলেন, নতুন আরেকটি প্ল্যান্ট তৈরি করার সময় হয়েছে। নতুন সরকারও এটি চাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরিপ করছে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরেই পুরোপুরি সচল হবে বিদ্যমান সিইটিপি। পার পাবে না অনিয়মে জড়িতরা, বলছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
তিনি বলেন, বৃহৎ সময়ে যারা এগুলোর জন্য দায়ী ছলেন, তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম চালু আছে।
সিইটিপি নির্মাণে অনিয়ম করায় চীনা প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি আটকে রেখেছে সরকার। অর্থ ফেরত পেতে প্রতিষ্ঠানটি তদবির করছে বলেও জানান শিল্প সচিব।
আরআর/টিএ