সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করলে তবেই শরীর সুস্থ থাকে। তবে বর্তমান সময়ে মানুষ এতটাই ব্যস্ত যে সঠিক সময় খাওয়াদাওয়া করছেন না বা করতে পারছেন না। যে কারণে দেখা দেয় নানা সমস্যা। শুধু যে পেটে সমস্যা হয় তা নয়, হজমেও সমস্যা হয়, ত্বকও নষ্ট হতে থাকে।
আবার শরীরের শক্তিও কমতে থাকে অনেকের। অফিসে তাড়া থাকার কারণে সকালের ব্রেকফাস্ট করতে পারেন না। যার কারণে শরীরের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। এমনকি বড় রোগেরও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এ ছাড়া আর কী ক্ষতি হতে পারে—তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
লিভারের ওপর চাপ পড়বে
আপনি যদি মধ্যরাতে খান, তাহলে আপনার লিভারের ওপর চাপ পড়বে। শরীর ক্রমশও খারাপ হতে থাকবে।
বেশি রাতে খেলে ভারী খাবার খেলে অনেকেই হজম করতে পারেন না। কারণ তাদের মধ্যে অধিকাংশই খাবার খাওয়ার পরেই ঘুমাতে চলে যান। খাওয়ার পর হাঁটাচলা না করার ফলে খাবার ভালোভাবে হজম হয় না। এতে লিভারের বড় সমস্যা হতে থাকে।
ওজন বাড়ে
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেকফাস্ট সঠিক সময়ে না করলে কর্টিসলের মাত্রা বাড়তে থাকে।
যে কারণে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। যার ফলে আপনার উদ্বেগ লাগবে। শরীর খুব ক্লান্ত লাগবে, কাজ করতে পারবেন না। আবার অনেকক্ষণ না খেলে আপনার খাবার হজম করার ক্ষমতা কমতে থাকবে। তবে এখানেই শেষ নয়, ওজনও কিন্তু হু হু করে বাড়তে থাকবে।
হজমক্ষমতা কমবে
বিকেল ৩টার পর ঠাণ্ডা বা ভারী খাবার একেবারে খাবেন না। এ সময়ে খেলে খাবারগুলো হজম করতে পারবেন না। পেট পেঁপে থাকবে। অস্বস্তি হবে পেটে। শরীরকে শক্তিশালী করতে সকালের দিকে ভারী খাবার খান, তবে দুপুর বা বিকেলের পর একটু হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এসিড হতে পারে
খালি পেটে চা-কফি একেবারেই খাবেন না। এটি এসিডিটির সমস্যা বাড়ায়। এতে আপনার অন্ত্রে জ্বালা হবে। আর এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। যা পাকস্থলীর ক্ষতি করবে। এতে আপনার শরীরে অস্বস্তি হবে। তারপর হজমক্ষমতা কমে যাবে।
ঘুমের সমস্যা হবে
মধ্যরাতে কোনো খাবার খেলে আপনার ঘুমের সমস্যা হবে। ভালোভাবে ঘুমোতে পারবেন না। মেলাটনিন হরমোন নিঃসৃত হবে। যে কারণে আপনার ঘুমের সমস্যা হবে। এমনকি ত্বকের ওপরেও প্রভাব পড়বে। চোখ, মুখ ফুলে যাবে। ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাবে। ত্বকের উজ্জ্বল ভাব কমতে থাকবে। সেই সঙ্গে সারা দিন ক্লান্ত থাকবেন আপনি। তাই আপনি যদি সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া না করেন, তাহলে শারীরিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
এফপি/এস এন