ঠিক এক বছর পর আরও একবার শ্রেয়াশ আইয়ার চেয়ে চেয়ে দেখলেন তাসের ঘরের মতো নিজের দলের বোলিং আক্রমণ ধসে পড়তে। এক বছর আগে ছিলেন কলকাতার অধিনায়ক। সেবার তার দল ২৬২ রান করেও ম্যাচ জিতে আসতে পারেনি। এবারেও হলো না। ২৪৫ রান তুলেও জিততে পারলেন না শ্রেয়াশ আইয়ার।
শুধু তাইই না। আইপিএলে প্রথম ইনিংসে ২০০ এর বেশি রান তুলে ম্যাচ হেরে যাওয়া অধিনায়কের তালিকায় সবার ওপরে তার নাম। যদি গতকালের ম্যাচে ব্যাট হাতে কম করেননি আইয়ার। তুলেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮২ রান। ব্যাট করেছেন ২২৭ স্ট্রাইকরেটে। তার ওই বিধ্বংসী ইনিংসটা পাঞ্জাব কিংসের স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ২৪৫ রান। কিন্তু অভিষেক শর্মা আর ট্রাভিস হেড যে ভাবছিলেন ভিন্ন কিছু।
অভিষেক শর্মা এক ইনিংসেই গড়লেন একগুচ্ছ রেকর্ড। ৫৫ বলে ১৪১ রান করে আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয়দের মাঝে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গটাই দিয়েছেন ট্রাভিস হেড। অজি এই ওপেনার আইপিএল ক্যারিয়ারে প্রথমবার ২০০ এর বেশি টার্গেটে ব্যাট করতে গিয়ে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দুজনের জুটি ১৭১ রানের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটে।
আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান চেজ ছিল গতকালের ম্যাচে। অধিনায়ক শ্রেয়াশ আইয়ার এর আগে হজম করেছেন আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান চেজের হার। এমনকি আইপিএল ইতিহাসে রান চেজের দিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানও হয়েছিল তারই দলের বিপক্ষে।
এরমাঝে কলকাতার অধিনায়ক হিসেবে হেরেছিলেন দুই ম্যাচ। আর এক ম্যাচ হেরেছেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক হিসেবে। সেরা পাঁচ রানতাড়ায় দুবার আছে রাজস্থান রয়্যালসের নাম। আবার কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে রানতাড়া হয়েছে দুবার করে।
তবে সবছাপিয়ে অধিনায়ক শ্রেয়াশের বিপক্ষে মোট ৩ বার ২০০ এর বেশি রানতাড়া করে জেতার নজির আছে। ২ বার এমন হার হজম করেছেন স্যাঞ্জু স্যামসন। আর কোনো অধিনায়ককে ২০০ এর বেশি রান তুলে ১ বারের বেশি হারতে হয়নি।
আরএম/টিএ