ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) রোববার (১৩ এপ্রিল ) শেষ হলো গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। ১১ রাউন্ড শেষে নিশ্চিত হয়েছে সুপার লিগের দলগুলোও। আজ তিন ভেন্যুতে মাঠে নেমেছিল ৬ দল।
বিকেএসপিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। যেখানে জয় তুলে নিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান সংগ্রহ করে গাজী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান ৮৪ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ব্রার্দাসের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন সুমন খান।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ব্রাদার্স। মাহফিজুল ইসলাম রবিনের অর্ধ-শতক এবং জাহিদুজ্জামান সাগরের অর্ধ-শতকে ভালোই লড়ছিল দলটি। তবে রবিন ৫৫ রানে আউট হলে ছন্দ পতন শুরু হয় ব্রাদার্সের। এরপর একের পর এক উইকেট তুলে নেন গাজীর লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকি।
এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাগর। শেষ পর্যন্ত ৯২ বলে ১২২ রান করেন এই ব্যাটার। ব্রাদার্সের ইনিংস থামে ২৫০ রানে। ওয়াসি সংগ্রহ করেন একাই ৬ উইকেট। ১০ ওভারে ৫২ রান দেন তিনি। ৫১ রানের জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে গাজী।
ওয়াসির এমন বোলিং স্পেল নিয়ে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন আবাহনীর প্রধান কোচ হান্নান সরকার। তিনি লেখেন, 'ইনিংসে ছয় উইকেট খুব বড় কোনো ঘটনা অনেকের কাছেই হয়তো না। কিন্তু ওয়াসির ছয় উইকেট আমার কাছে বিশেষ কিছু। লেগস্পিনাররা এমনিতেই ম্যাচ খেলার সুযোগ তেমন পান না, বেঞ্চেই বসে থাকতে হয় বেশিরভাগ সময়। এমন পরিস্থিতিতে কোনো লেগস্পিনারের দুর্দান্ত বোলিং অবশ্যই বাকিদের জন্যও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। কে বলতে পারে! এমন দারুণ পারফর্ম্যান্সগুলোই হয়তো আগামী দিনে আরও যারা লেগস্পিন করে, তাদের বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেবে।'
'তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, ওয়াসি। আজকে ছয় উইকেট পেয়েছো, কালকে হয়তো ওভারে ছয়টা বাউন্ডারিও খেতে পারো। ক্রিকেটে সবধরণের দিনই আসে। কিন্তু নিজের প্রতি এই বিশ্বাসটা সবসময়ই রাখিও যে, তোমার পক্ষে বড় কিছু করা সম্ভব। খুব খুব সম্ভব।'-যোগ করেন তিনি।
আরএম/টিএ