সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শোবিজাঙ্গনে নানা অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার ঘোষণা দেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা।
২০২০ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরা দশে ছিলেন তিনি। এরপর এরপর বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু, একে একে কাজ করেছেন নাটক, ওয়েব সিরিজ ও সিনেমায়। ক্যারিয়ারের বয়স যখন মাত্র ৫ বছর হলো, তখনই আকস্মিক অভিনেত্রীর ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার ঘোষনায় চমকে যান সাধারণ দর্শকেরাও।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন নেহা? জানা গেছে, অপেশাদার আচরণের শিকার হয়েই রীতিমতো অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বিষয়টি একটু খোলাসা করা যাক, কিছুদিন আগেই জানা যায়, শাকিব খানের সঙ্গে তাণ্ডব সিনেমায় অভিনয় করছেন নেহা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী নিজেই।
মূলত সে খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরই সিনেমায় থেকে বাদ দেওয়া হয় নেহাকে। সিনেমাটিতে একদিনের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যে কারণে এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
নেহা বলেন, ছবিটির নাম আমি আর বলতে চাইছি না। একদিন শুটিংও করেছি। আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজটির জন্য আমি সব বাদ দিই। ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করে তাদের মে পর্যন্ত টানা দুই মাসের ডেট দিই। ঈদের আগে একদিন শুটিংও করি। এরমধ্যে এক পত্রিকার রিপোর্টার আমার কাছে নতুন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছবিটির কথা বলি। এরপর নিউজ হলো। আমাকে নায়িকা বানিয়ে দেওয়া হলো। আমি তখনও নিউজটি দেখিনি। কিন্তু ছবি সংশ্লিষ্টরা মনে করলেন আমি নিউজ করিয়েছি। আমার সঙ্গে চেচামেচি করলেন। আমি বললাম, করাইনি। এরপর যা ঘটার ঘটল।
নেহার মতে, সিনেমার খবরটি জানালেও তাকে বাদ দেওয়ার মত কাজ তারা করতে পারেন না। এটা পুরোপুরি অপেশাদারিত্ব। কারণ তারা অফিসিয়ালি কখনও বলেনি বিষয়টি গোপন রাখতে।
অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘যদি আমি নিউজ করিও তবুও তো তারা আমার সঙ্গে এরকম করতে পারেন না। কেননা আমাকে তো বলা হয়নি যে নিউজ করা যাবে না। সাধারণত কাজের ক্ষেত্রে টিম যদি কোনোকিছু গোপন রাখার প্রয়োজন বোধ করে তবে আর্টিস্টের সঙ্গে বসে আলোচনা করে। কিন্তু আমাকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। চুক্তিপত্রে সাইন করার কথা ছিল। হয়তো সেখানে লেখা থাকত। কিন্তু তাড়াহুড়া করে কাজটি শুরু করা হয়। সাইন করার সময়টা-ই ছিল না। ঈদের পর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের কথা ছিল। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে কাজটির কথা গোপন রাখতে বলেওনি।’
আরএম/টিএ